তারিখ: পহেলা আষাঢ় ১৪২৬ বাংলা
আমার নিজস্ব কোন গগণ নেই,
যেখানে তুমি পূর্ণিমার সুধানিধি হয়ে দৃশ্যমান হবে।
নেই কোন সুন্দর ইরাবান,
যেথায় তোমায় স্বপ্নলোকের রানী বানাবো।
তবে পুরনো একটি ছনের গড়া,
আমার একটি ঘর আছে।
আছে -জলধারার নামে চোখের ভিতর,
ভালবাসার নোনাজলে ভরাট দুটি কর্ণিয়া।
ওতে কি হবে তোমার?
খুজে নিতে পারবে কি সেখান থেকে,
তোমার ভালবাসাটুকু অবসরে।
অথচ
তোমার শহরজুড়ে এখনো আমি,
তৃষ্ণাতুর কাতর হয়ে তোমায় খুজে বেড়াই।
ভেজালমুক্ত এক নীল আকাশের শহরে,
তোমার নামের ঐ নীল ঘুড়িটা উড়াই।
একুশ পেরিয়েও তোমার ঠিকানা পেলাম না,
অজস্র লেখা রজনী বিসর্জন দিয়ে চিরকুটের প্রাপক পেলাম না।
ধরে নিবো কি এ আমার ব্যর্থতা?
কতগুলো কবিতা গুমড়ে কেঁদে যাচ্ছে,
তোমার ঠিকানায় পৌছবে বলে।
কতগুলো চিরকুট আহাজারি করছে,
তোমাকে প্রাপকের পরিচয় দিতে চায় বলে।
কতগুলো শব্দ অভিমানের ছলে হারিয়ে গেছে,
তোমার প্রেমছোঁয়া না পাবার কষ্টে।
তবুও তুমি সে দূরেই পড়ে আছো!
থাকো।
তুমি সুখবিলাসে সে দূরেই সুখ করে যাও
আমি স্মৃতির বাক্সে কয়েদ করে রাখবো,
উপচে পড়া সে ঘেন্নার প্রতিচ্ছবি।
চিরকুটের পাতায় লিখে রাখবো,
অবহেলিত আহত প্রতিটি শব্দ।
অতঃপর
কোন এক অভিশপ্ত বিকেলে,
তোমার দ্বারস্হ হবো।
খুব আনন্দের সহিত আমার কষ্টগুলো,
তোমার হাতে সপে দিবো।
আমার স্মৃতির সমুদ্রতটে,
তোমাকে স্বাগতম জানাবো।
সেথা হতে তুমিও কেঁদে কেঁদে আমাকে বুঝ দিবে,
অবহেলার পর্দা উচিয়ে বলবে,
তোমাকে আর চেনা হলো না!
ছবি: নেট থেকে সংগ্রহ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:০২