বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে পা দেওয়ার পরেও রাষ্ট্র যদি তার দেশের জনগনের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে রাষ্টের সেই বিজয় আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে উদযাপন না করায় শ্রেয় । প্রজাতন্ত্রের উপরস্থ কর্মকর্তার ক্ষমতা এতো বেশী যে, প্রজাতন্ত্রের নিম্নস্থ কর্মকর্তার আজ ১২ দিন হয়ে গেলো, এখন পর্যন্ত ঐ উপরস্থ কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা যাদের উপর ন্যস্ত আছে তাদের উচিত, রাষ্টে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যেই ভাবে ব্যাহিক আলোকশয্যাই মনোনিবেশ করেছেন, এই ভাবে যদি রাষ্ট্রের জনগনের মনের মধ্যে কি ভাবে কিঞ্চিত পরিমান অলো সঞ্চার করা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায় সেই দিকে দৃষ্টিপাত দিতেন তাহলে রাষ্ট সুস্থ থাকতো ।রাষ্টের সর্বোচ্চ ক্ষমতার ব্যাক্তিগন, যদি বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান" এর ২৭নং অনুচ্ছেদ এবং ৩১নং অনুচ্ছেদ যদি মনোনিবেশ করতেন তাহলে এই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের জনগনের একটা মৌলিক অধিকার প্রতিষ্টা হতো। ২৭নং অনুচ্ছেদঃ সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এবং ৩১নং অনুচ্ছেদ ঃ বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক যে কোন স্থানে অবস্থানরত অবস্থায় আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রাখে। একটি সুন্দর সুস্থ বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় ৯ মাস লড়াই করেছেন, এবং জীবনহানি হয়েছে ৩০ লাখ মানুষের অনুমান করা হয় । তারা তাদের জীবন যেই বাংলাদেশ দেখার জন্য উৎসর্গ করেছেন, সেই বাংলাদেশ তৈরী করতে রাষ্টের নীতি নির্ধারকদের মনোনিবেশ করা উচিত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০