বাংলাদেশের সকল জেলায় বেশিরভাগ পুলিশের মধ্যে আমি একটা সহজাত প্রবৃত্তি লক্ষ করেছি।
সেটা হলো যেকোনো জায়গায় যেকোনো ক্রাইমে পুলিশ ভিকটিমের সাপোর্ট না নিয়ে আগে অপরাধীর সাপোর্ট নেয়, অপরাধীকে বাচানোর চেস্টা করে। অপরাধীকে বাচানোর জন্য পুলিশ কিছু করা বাদ রাখেনা।
১- মামলা না নেওয়া
২- ভুয়া তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া
৩- চার্জশট থেকে আসল আসামীকে বাদ রাখা
৪- ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি ধামকি ও নির্যাতন
ইত্যাদি সহ আরো বহু রকম উপায়ে পুলিশ অপরাধিকে বাচানোর চেস্টা করে।
অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার এই প্রবৃত্তিটা পুলিশের ভেতর ঠিক কখন থেকে শুরু হয় এবং কেন শুরু হয়??
ফেনীর নুসরাত হত্যায় ওসি মোয়াজ্জেম থেকে শুরু করে এরকম শত শত উদাহরন পাওয়া যাবে পুলিশের আসামির পক্ষ নেওয়ার। এমনকি প্রতারক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা নিত না।
কোনো ঘটনা ভাইরাল হয়ে গেলে তখন চাপে পড়ে পুলিশ ভিকটিমকে সাহায্য করতে বাধ্য হয়।
সম্প্রতি কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যা মামলায়ও পুলিশ অপরাধীকে বাচানোর সর্বোচ্চ চেস্টা করে যাচ্ছে। হত্যার ঘটনাটা যদি ভাইরাল না হত তাহলে এই মামলাও তারা ধামাচাপা দিয়ে মেজর সিনহাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে খালাস হয়ে যেত।
তো এইযে অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার প্রবৃত্তি এটাতো পুলিশের মূলনীতির সরাসরি বিরোধী। পুলিশ তৈরীই করা হয়েছিল অপরাধ দমনের জন্য, তা না করে পুলিশ নিজেই অপরাধিদের সাহায্য করছে এবং নিজেরাও অপরাধ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ বাহীনির একাংশ এখন ইউনিফর্ম পরিহীত সন্ত্রাসী বাহীনিতে পরিনত হয়েছে
আবারো জানতে চাই অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার এই প্রবৃত্তিটা পুলিশের ভেতর ঠিক কখন থেকে শুরু হয় এবং কেন শুরু হয়??
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪১