#ভুক্তভোগী
মো আফিফুল ইসলাম
ইতিহাস বিভাগ
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল
এবার চলে আসি মূল ঘটনায়,গতকাল রাতে আমরা জিয়া হলের ৫ বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কক্সবাজার যাবো,অতঃপর আমরা ৯ঃ৩০ দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে পোঁছলাম এবং সঠিক সময়ে চিটাগাং মেইল ট্রেনটি আসলো,আমরা এবং সাধারন পাবলিক যথাবিহিত নিয়মে টিকেট কেটে বগিতে উঠলাম,কিন্তু ট্রেন ছাড়ার ৬/৭ মিনিট আগে ৩/৪ সেনাবাহিনীর সদস্য এসে বললো, তারা নাকি পূর্বে থেকে বগি রিজার্ভ করে রেখেছে,এখন কথা হলো বগি যদি রিজার্ভ করে রাখা হয় তাহলে এই বগিতে সিল মারা হলো না কেন? বা এই পাবলিক বগিটি খোলা ছিলো কেন? আর কেনই বা আমাদের এই বগিতে উঠা ১০০/১৫০ জনের কাছে টিকেট বিক্রি করা হলো? আমরা যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন স্টুডেন্ট ছিলাম আমরা কোনভাবেই এই অন্যায়টা মানতে পারছিলাম না।কিছুক্ষণ পর শুনলাম মেইল ট্রেনে যে সাধারন পাবলিকের জন্য প্রথমদিকের ৩টি বগি ছিলো তারা নাকি সবগুলোতেই গিয়ে বলে তারা নাকি এগুলো বরাদ্ধ করে রেখেছে।তখন আমরা তাদের টিকেট চাইলাম তারা দেখাতে পারে নি,,টিটিকেও নিয়ে আসতে পারেনি এবং তাদের সাথে কোন পুলিশও ছিলো না।এখন কথা হলো ৩টি বগিতে টিকেট কেটে ওঠা সাধারন পাবলিক কোথায় যাবে? তখন এক পর্যায়ে আমাদের বগিতে সাধারন পাবলিকসহ আমরা প্রতিবাদ করলাম। তারপর টিটি আসলো,পর্যায়েক্রমে রেলওয়ের বড় অফিসার আসলো আমাদের সাথে কথা বললো, আমরা আমাদের যৌক্তিক কথা গুলো বললাম তখন রেলওয়ে অফিসারসহ টিটি আমাদের যৌক্তিক কথা গুলো শুনার পর তারা আর কিছু বলেনি,অতঃপর সেনাবাহিনীর সদস্য গুলো বললো তরা যা আমরা তদের দেখে নিবো।অতঃপর যখন আমরা এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে আসলাম তখন এক অফিসারসহ ২০/২৫ জন আর্মি আমাদের বগিতে উঠলো,একপর্যায়ে সাধারন পাবলিকও আমাদের তুপের মুখে তারা কিছু করতে পারেনি,তখন সার্জেন্ট মমতাজ আমাকে কানে কানে বললো তোমরা ইউনিভার্সিটির কয়জন আছো বলো। আমি বললাম ৫ জন,তখন উনি বললেন তোমাদের VIP সীটের ব্যবস্হা করে দিবো। আমি বললাম এই অন্যায় দাবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হিসেবে কখনোই আমি মানতে পারি না।তখন একপর্যায়ে ওরা যখন আমাকে নিচে তাদের সাথে আসতে বললে আমি বলি আপনার যা কথা এখানেই বলবেন, আমরা এখানেই শুনবো,এক পর্যায়ে যখন তাদের অন্যায় ভাবে বগি দখল করাটাকে আমাদের এবং সাধারন পাবলিকের হেরেসমেন্ট করাটাকে সম্মিলিতভাবে বাধাঁ দেই।যেখানে স্টেশনে ৫মিনিট ট্রেনটি অবস্হান করার কথা সেখানে ট্রেনটি ১৩ মিনিট আটকে ছিলো,তারপর তারা সার্জেন্ট মমতাজ নির্দেশে বগির একপাশ থেকে অপরাশেন ক্লিন বলে সবাই একসাথে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পরলো,বুটের পায়ে পিষ্ঠ করে, মারতে মারতে কাউকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয় কাউকে দরজা দিয়ে লাথ্থি দিয়ে ফেলে দেয়।যেহেতু প্রতিবাদের সামনে থেকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষার্থী Shahariar Babu Abdur Rahman Shanto SN Nahid Hasan Hossain ahmed,তারা আমাদের টার্গেট করে এবং আমাদের ৫ জনকে বগির ভিতরে অনেকক্ষণ মারধর করে, তারপর আমাকে ধরে আমাকে বগি থেকে নামিয়ে ১৭/১৮ জন সেনাবাহিনীর সদস্য ৫/৭ মিনিট নিচে ফেলে আমাকে মারে, তখন আমার বন্ধুরা এসে আমাকে রক্ষা করে।ভিডিওতে যে দেখা যাচ্ছে সার্জেন্টটা আমাদেরকে বুজাচ্ছ্ে কিন্তু ওনি হলো নাটের গুরু,যখন আমাদের মারা শুরু করে তখন আমাদের হাত থেকে সব মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ভেঙ্গে ফেলে এবং নিচে নামিয়ে সার্জেন্ট এবং তার সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রচন্ড মারধর করে।
নিচে প্লাটফর্মে আমরা এবং সাধারন পাবলিক একত্র হই এবং আমরা বিক্ষোভ করি এবং একপর্যায়ে লাইভে আসি,তখন এই নির্মম অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আমরা এবং সাধারন পাবলিক টিকেট কাউন্টারের সামনে অনশন করি,,রাত ৩ঃ৩০ পর্যন্ত আমরা সেখানে অনশনে ছিলাম আমাদের মধ্যে ২০/২৫ আহত হয়,গুরুতর আহত আমিও আমরা বন্ধু শাহরিয়ার,,তারপরও অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে আমরা অনশনে ছিলাম অতঃপর রব্বানি ভাই,সাদ বিন কাদের ভাই,তানভীর হাসান সৈকত ভাই এবং ঐতিহ্য ভাই সহ আরো অনেকে আসে,এবং এই বিষয়টা নিয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকতার সাথে কথা বলে আমাদের আশ্বস্ত করে তাদের সুষ্টু বিচার হবে আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নিবে তখন আমরা ২৪ ঘন্টা সময় দেই এই সময়ের ভিতর আমাদের দাবী গুলো মানা না হলে আমরা পুনরায় অনশনে যাবো বলে ৩ঃ৪০ এর দিকে প্রাথমিকভাবে আমরা সবাই অনশন ভাঙ্গি এবং আমাদের সাথে সাথে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে আসা হয় আমরা এখানে ভোর ৫ঃ৩০ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম।এখন আমরা মুটামুটি সুস্হ আছি,,,,,২৪ ঘন্টার ভিতর আমাদের দাবী মানা না হলে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে আমরা কাল সকাল ৯ঃ০০ টা থেকে রাজু ভাস্কর্যে পুনরায় অনশনে বসবো।
আমাদের দাবীঃ-
১,আমাদের উপর ওরা যে হিংস্রভাবে ঝাপিয়ে পরে নির্মম শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে আমরা তার বহিস্কারসহ সুষ্ঠ বিচার চাই এবং তারা যেহেতু পাবলিককে হেরেসমেন্ট করেছে সেহেতু তারা জনসম্মুখে জন সাধারনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
২,আমাদের মোবাইল,মানিব্যাগ,ব্যাগসহ যা খোয়া গেছে তার ক্ষতি পূরন দিতে হবে।
৩,আমরা নিরাপদ রেল যাতায়াত চাই। যেন আর কখনো রেল যাতায়াতের সময় কোন পাবলিক হেরেসমেন্টের স্বীকার না হয় ।
লেখাগুলি ভুক্তভোগীর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
ভুক্তভোগীর ফেসবুক প্রফাইল লিংক
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪২