দূরের প্রিয়ভাসীনি তোমাকে লিখেছি ।
জানালা খুললেই চোখে পড়ে খ্রিস্টান সেমিষ্ট্রি । চকচকে চাঁদ হাসে চুপচাপ চাপা পরিবেশ । বাসার ল্যানে সিটি কর্পোরেশনের আলোতে স্পষ্ট আলো । সি ক্যাটাগরির বিড়ালের শব্দ কানে লাগে । শুনশান আলো সিঁধ কেটে মায়া জন্ম নেয় । জোৎস্না আলোতে সবুজ পত্র পল্লব যেন হীরকখন্ড বাজে ।
শরীর মিলে গেছে অশীরর মাটিতে । পৃথিবীর লগ্ন যদি যুগ যুগান্তর হয় সেই মাটির চরিত্র খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে । আসে যাওয়ার নিবিড়তা । কোথায়,কেন, ভিতর থেকে বাহিরে কার্যক্রম করে । কে করেন ? আবরনে আবৃত হয়ে এ স্বর্গীয় বাতাস যেন সে শূন্য মান হয়েও উঠে । অসীম সে । অর্ধেক ছায়া আর পূর্ণিমার সমান্তরাল মান করে । কোথাও যেন বিজলী আলোতে স্পষ্ট অবলোকন করি । কেউ হেটে যায় । খসে পড়া নক্ষত্র । জুপিটার হতে বাকী ছিল ।
চেনা মরুর পথ /তুষার পথ/ মেঠো পথের পথিক হাত ছত্র । যদি শরীর ভেজা জলরাশীতে কিংবা শুভ্র তুষার । লাল রঙের ছাতার নিচে ঠাঁই নাও । হাত বন্ধি হাতে থাকুক । যদি অস্তিত্ব না ও থাকি ভেবে নিও তোমার শরীরের সাথে এটে আছি । ঠিকই পেয়ে যাবে দেখবে কেউ একজন বগলবন্ধি । মায়ার হাত ছেড়ে দিও না, অদৃশ্য বলে । প্রিয় সাদা কোর্তা, নীল প্লেইন বো ট্রাই, আর তোমার পছন্দের টম পোর্ট সুগন্ধী গায়ে । হয়ত শরীর খুঁজলেই সে সুগন্ধী তোমাতে পেয়ে যাবে । কোন অংশই যেন না থাকি অনুপস্থিত ।
আসো ভিড় করো আমার দর্পনে, না হলে ক্ষতি কি জিজ্ঞেস করতে পারো ? কেন জানো ? আমার মত নতুন কেউ এ আবেদনময়ী বক্তব্য নিয়ে এসেছিল । সেই চির চেনা তুমিই প্রত্যাখান করেছিলে । সেই পুরানো মডেল তুমি/আমি অভিমান মন নিয়ে লুকিয়ে গেছে যেটি জানালা খুলে দেখছি । জমিনের একেকটি টুকরো হয়ত নতুন কেউ আমি তুমি দাড়ানো । অদেখার উপস্থিতি অ-সূম্পর্ণ চিত্ত ফিরতে চায় না । মোটেও নয় ।
যদি হয়ে যাই নিরুদ্দেশ, আবার কে পড়বে নতুন মোহে, নতুন হলিতে, নতুন লীলাতে । দাও যেতে আর মতি, অনুভূতি,ইচ্ছে কিছুই নেই । আসুক নতুন কেউ, তাকে বুঝিয়ে দিও___________
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৬ ভোর ৪:০৫