এটা যেহেতু একটি একাডেমিক গবেষণা তাই সামহোয়্যারইন কতৃপক্ষের কাছে আমার নিজের পরিচয় নিশ্চিত করে অনুমতি চেয়ে নিতে হয়েছে আমার গবেষনায় এই ব্লগিং সাইট ব্যাবহার করার জন্য। অনুমতি দেবার জন্য জানা আপু ও শরৎ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি ব্লগারদের রেসপন্স চেয়ে আরো কিছু ব্লগ সাইটে রেসপন্স দিবো। কয়েকটির অনুমতি পেয়ে গিয়েছি, কয়েকটির অনুমতির অপেক্ষায় আছি। তবে আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন হয় আপনি অন্য ব্লগে ব্লগিং করেছেন কিন্তু সামুতে এখন পাঠক হিসেবে আমার পোস্ট পড়ছেন তাহলে এখান থেকেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আপনি কীভাবে গবেষণায় অংশগ্রহণ করবেন?
যেকোন বাংলা ব্লগসাইটে ব্লগিং করেছেন এমন যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে। গুগল ডকের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। লিঙ্ক একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। আপনার মোবাইলে যদি বাংলা ফন্ট আসে তাহলে মোবাইল থেকেও ঢুকতে পারবেন। ফর্মের শুরুতেই ইন্সট্রাকশন দেয়া আছে। এছাড়া বেশীরভাগ প্রশ্নের সাথেই উত্তর দেবার দিকনির্দেশনা পাবেন। কিছু না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। এটি ফিল আপ করতে ৫ থেকে ৭ মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা না।
ফর্মের ১ থেকে ২০ পর্যন্ত প্রশ্নে ব্লগ ও ফেসবুক সম্পর্কে আপনার কিছু অভিজ্ঞতা ও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ২১ থেকে ২৬ নং প্রশ্নে চাওয়া হয়েছে আপনার কিছু ব্যাক্তিগত তথ্য। আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো ১ থেকে ২০ পর্যন্ত নিশ্চিন্তে ফিল আপ করুন তারপর ২১ থেকে ২৬ নম্বর যদি উত্তর দিতে ইচ্ছে হয় দিবেন, না হলে যেটুকু ফিল আপ করেছেন সেটাই সাবমিট করুন। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানবিভাগের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত গবেষণা, এই গবেষণার তথ্য একাডেমিক উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোথাও ব্যাবহৃত হবে না। তাই আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য সর্বদা গোপনী থাকবে এ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আমি বিগত গবেষনাতেও সবার তথ্য শতকরা হিসেবে প্রকাশ করেছি কারো তথ্য আলাদাভাবে প্রকাশ করি নি। লক্ষ করুন একদম সর্বশেষ প্রশ্নে আপনার ব্লগ নিক জানতে চাওয়া হয়েছে। আপনি যদি নিজের পরিচয় গোপন রেখে গবেষণায় অংশ নিতে চান, তাহলে ব্লগ নিকের ঘরে লিখুন ‘অনিচ্ছুক’ (ইংরেজীতে লিখতে হলে Onissuk)। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচয়টুকুও গোপন থাকলো আপনি নিজেও নিশ্চিন্তে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন। তবে আবারো বলছি আপনি চাইলে নিজের নিক প্রকাশ করেই নিশ্চিন্তে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি বিশেষ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বস্তি বোধ করেন সেটি স্কিপ করে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যান। ফর্ম ফিল আপ করার মাঝপথে আপনার যদি মনে হয় আপনি আর উত্তর দিতে চাইছেন না বা পারছেন না তাহলে যেটুকু ফিল আপ করেছেন সেটুকু রেখেই সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
কিছু গাইডলাইনঃ
সবকিছুই ফর্মটিতে লেখা আছে তারপরো কয়েকটি প্রশ্নে কনফিউশন হতে পারে ভেবে এখানে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
২ নম্বর প্রশ্নটিতে খেয়াল করুন। অন্যান্য সব প্রশ্নে নিজের খুশীমতো ক্লিক করতে পারলেও এখানে আপনি 1 থেকে 3 মধ্যে একটি, 4 থেকে 6 এর মধ্যে একটি ও 7 থেকে ৯ এর মধ্যে একটিতে ক্লিক করবেন।
৭ নম্বর প্রশ্নে অনেকগুলো অপশন আছে, তবে উত্তর দেবার সময় আপনার যদি মনে হয় এই অপশনের বিষয়গুলো নিয়ে লেখা ছাড়াও আরো বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আপনি ব্লগে লিখেছেন তাহলে প্রদত্ত যেকোন অপশনে ক্লিক করার পাশাপাশি other অপশনটিতে গিয়ে নিজের মতো আরো কিছু যোগ করতে পারেন।
১৪ নম্বর প্রশ্ন দেখে কৌতহল জাগতে পারে কেন শুধু ফেব্রুয়ারী থেকে জুলাই এর কিছু ইস্যু এখানে দেয়া হয়েছে। এর কারণ হলো আমার সেমিস্টারের সময়সীমা ছিলো ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে জুলাই। তাই এই সময়টাতেই আমি observe করে যেসকল ইস্যুর সাথে নিজের research objectiveএর সাথে সঙ্গতি পেয়েছি সেগুলো বাছাই করেছি। যেকোন ইস্যুতে আপনি পক্ষে বিপক্ষে যেকোন অবস্থান নিতে পারেন, আমার সেটা জানার দরকার নেই। প্রদত্ত ইস্যুতে আপনি যদি যেকোন ধরণের মতামত দিয়ে থাকেন, তাহলে ক্লিক করুন। অনেক প্রশ্নেই অনলাইন শব্দটির ব্যাবহার দেখতে পাবেন। মূলত অনলাইন বলতে এখানে ব্লগ ও ফেসবুককে বোঝানো হয়েছে।
১৯ ও ২০ নং প্রশ্নে আপনি সংক্ষেপে বা বিস্তারিত যেকোনভাবে উত্তর দিতে পারবেন। তবে অনুরোধ রইলো একটু স্পেসিফিক হবার চেষ্টা করবেন। অনেকে আবার আইন কানুন নিয়ে লিখতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্কিপ করে যান। ২৪ নম্বর প্রশ্নে যাদের লেখাপড়া এখনো চলমান তারা যে পর্যায়ে লেখাপড়া করছেন সেটি লিখার পর লিখবেন চলমান। আমারটা যেমন মাস্টার্স চলমান।
এই গবেষণা করার কার্যক্রম হিসেবে এই বছরের ফেব্রুয়ারীর বইমেলা থেকে শুরু করে পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্লগারের সাথে আমি কথা বলেছি। এছাড়া যে ফর্মটি আপনারা ফিল আপ করছেন সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার আগে সামুর বেশ কিছু ব্লগারদের দিয়ে টেস্ট করিয়ে নিয়েছি সব ঠিক আছে কিনা। প্রত্যেককে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনেকে হয়তো ভেবে থাকতে পারেন এসব গবেষণাতে অংশ নিয়ে কী লাভ?? যেকোন কিছুর সম্পর্কে জানার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গবেষণা। ইউরোপিয়ান ব্লগস্ফিয়ার নিয়ে বর্তমান গবেষণাগুলো এখন জানার চেষ্টা করছে ফেসবুকের কারনেই কি ব্লগ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে কি না? সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে মানুষ কি ন্তুন কিছু ভাবতে শেখে নাকি নিজের আগের চিন্তাগুলোই নতুন করে প্রতিষ্ঠা করে? ইউরোপিয়ান গবেষকরা বর্তমান গবেষণায় এ ধরণের স্পেসিক প্রশ্ন রাখতে পারছে কারণ তারা ব্লগস্ফিয়ারের একটি সামগ্রিক চিত্র তাদের প্রাথমিক গবেষণা থেকে পেয়ে গিয়েছে ।আমি আশা রাখছি যদি আপনারা সাহায্য করেন তাহলে এই গবেষণার মাধ্যমে অনলাইনে জনমত প্রতিষ্ঠায় ব্লগারদের ভূমিকার একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরতে পারবো। এছাড়া আমার গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে সামনের পোস্টগুলোতে আপনাদের অনহিত করার চেষ্টা করবো।
ফর্ম-এর লঙ্কটি শেষে আবার দিলামঃ লিঙ্ক
আমার আগের গবেষণার লিঙ্কটিও রইলো