একজন জামাতির মনের কথা___"জামাতের বিপক্ষ নেয়া মানে ইসলামের বিপক্ষ নেয়া, জামাত এই পৃথিবীতে ইসলাম এনেছে। জামাতের বিপক্ষে কথা বলা মাত্র আপনারা কাফের, মুনাফির হয়ে যাবেন। ১৯৭১ এর গন্ডগোলে যে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট করেছি তা ইসলাম প্রচার আর প্রসারের জন্য। জামাতি-মুসলমান ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো বাঁচার অধিকার নাই। যতই নামায, কালাম, সৎ মুসলমান হোন না কেন কোন লাভ নাই। মালাঊন জবেহ করাতো পুণ্যের কাজ। রাজিবকে নিজের হাতে জবেহ করতে পারি নাই তাই মনে দুঃখ আছে। মহানবী (সঃ) কিছু ভুল কথা বলেছিলেন যেগুলা আমরা সংশোধন করেছি, যেমন তিনি বলেছেন "মনে রেখো যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায় ,তাদের অধিকার খর্ব করে ,তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরূদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব ।" (আবু দাউদ) এগুলা আমরা মানিনা, আমরা অমুসলিম জবেহ করি। গোলাম আযম (রাঃ), নিজামি (রাঃ), মুজাহিদ (রাঃ), কাদির (রাঃ), সাঈদী (রাঃ) পীর মওদুদী(রাঃ) আমাদের আসল নবী। ওনারা মহানবীকে মানেন না। আমরাও মানিনা। আরও কিছু মহানবী (সাঃ) এর ভুল আপনাদের জানান আমার গোলামী দায়িত্বঃ আগুলা ভুলেও মানবেন না, জবাই এর বিকল্প নাই (রগ কাটতে পারেন তবে জবাই এ সোয়াব বেশি)
মদিনা সনদঃ
১) মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমান সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং তারা একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
২) হযরত মোহাম্মদ (সা নবগঠিত প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকারবলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন।
৩) পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে; মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে; কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৪) স্বাক্ষরকারী কোনো সম্প্রদায়কে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা সমবেত প্রচেষ্টায় বহিঃশত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করবে।
৫) বহিঃশত্রুর আক্রমণে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলো স্ব-স্ব যুদ্ধ-ব্যয়ভার বহন করবে।
৬) স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে; এর জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দোষী করা চলবে না।
৭) মদিনা শহরকে পবিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার এবং অপরাপর অপরাধমূলক কার্যকলাপ একেবারেই নিষিদ্ধ করা হলো।
৮) অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং সর্বপ্রকার পাপী বা অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে।
৯) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
১০) ইহুদিদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে।
১১) দুর্বল ও অসহায়কে সর্বতোভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
১২) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
১৩) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।"