রাত ২ টা। হঠাত করে মনে হল ভাজা মাংস দিয়ে তন্দ্রু রুটি খাওয়া দরকার। ওমনি কয়েকটা পাগলকে ফোন। কোথায় যাবো কেন যাবো সে প্রশ্ন না করে তারাও চলে আসে। মধ্যে রাতে চলে আমাদের ভোজন। মধ্যে রাতের পর যদি কেউ বন্ধুদের সাথে বাইরে হেটে থাকেন বুঝবেন অনুভূতি কেমন। মনে হয় এই রাত যেন শেষ না হয়। আমরা যখন খাওয়া শেষ করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে আড্ডা দিতে দিতে হেটে আসতাম মনে হত, এই রাস্তা আমাদের, এই শহর আমাদের।
মাঝে মাঝে বিকেলে একসাথে সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম শহরের অদূরে। গ্রামের পর পর গ্রাম। রাস্তার দুপাশে ধান ক্ষেত। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হেটেছি ধানক্ষেতের আইল ধরে। একেঁবেকেঁ রাস্তা চলে গেছে। থেমেছি রাস্তার পাশের কোন চায়ের দোকানে।
স্যারের বাসায় পড়তে গিয়ে একসাথে পিছনে বসে গল্প করেছি। স্যার মাঝে মাঝে খুব বকা দিতেন। মাঝে মাঝে আলতো করে হেঁসে চলে যেতেন। জানতেন, এরা আর যাই করুক , আমাকে ডোবাবে না।
নিজের কোন প্রিয়জন বা বন্ধুর কোন প্রিয়জন হসপিটালে ভর্তি হলে একাসাথে গল্প করে রাত পার করেছি। বড় একটা সময় কাটিয়েছি হসপিটালের পুকুর পাড়ের ল্যামপোস্টের নিচে বসে আড্ডা দিয়ে।
সপ্তাহের শেষে সবাই একসাথে চা খাবো বলে সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষা করেছি। যেদিন চায়ের আড্ডায় বসেছি সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে আমাদের আড্ডা।
পরিবার প্রিয়জন সবাইকে সামলে উঠতে না পারা বন্ধুকে বলেছি, আরে পাগলা সমস্যা নেই। আমরা আছি তো।
সকলেরই সময় আসে। সময় ফুরায়।
আমাদের সময় ছিল। হয়ত আমাদের সময় ও ফুরিয়েছে। হয়তো না।
চাইলেই অনেক কিছু লেখা যায় না।
নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম
জুলাই ৩০, ২০২০।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭