পটল আমার দুই চোখের বিষ । মেস লাইফের শুরুর দিকে পটলের কোন তরকারি হলেই মিল বন্ধ থাকতো । এখন পটল রান্না , পটল ভাজি কোন কিছুতেই আপত্তি নেই ।
কাটোয়া ডাটা দেখলেই মনে হতো, এটা কোন মানুষের খাবার হয় কি করে । এখন রান্না হলে বেশ সময় নিয়ে চাবিয়ে চাবিয়ে খাওয়া হয় ।
একবার এক আত্নীয় এসেছিলেন । দুপুরের খাবার সময় ডাল দেখে বলে এটা কি , এত ছোট বাটিতে হাত ধোয়া যায় ? আমি বললাম , না, এটা ডাল । শুনেই তার চক্ষু চড়কগাছ । তাঁর সামনেই আমি ডাল দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম । তিনি আমার দিকে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলেন, মনে হচ্ছিল তিনি বিয়ার গেইল এর মাকড়শা খাওয়া দেখছেন ।
একদিন রাতে ডিম রান্না দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর মধ্য মাছের কাটা । প্লেট ছুড়ে মেরে , বমি করার উপক্রম । কাল রাতে ডিম ভাজি আর আজু ভাজি দিয়ে খেতে বসেছিলাম । দেখি মাছের কাটা । আস্তে করে কাটাগুলো আলাদা করে রেখে খাওয়া শেষ করলাম ।
প্রথম দিকে দেখতাম রুমমেটরা আমার শ্যাম্পু সাবান ব্যবহার করতো । কি যে মেজেজা খারাপ হয়েছিল প্রথমদিন দেখে । মনে হচ্ছিল মানুষ এতটা ব্যক্তিত্বহীন হয় কিভাবে । শেষ দুই মাসে আমি সাবান শ্যাম্পু কোনটাই কিনি নাই । কিন্তু প্রতিদিন শ্যাম্পু করি । এমন কি রুমমেটের কোন টিশার্টই সে প্রথমবার গায়ে দিতে পারে নি ।
বড়ভাইদের কার্ড খেলা দেখে গায়ে জ্বালা করতো । মনে হতে মানুষ না ঘুমায়ে এগুলো করে কেমন । এখন ভুলে কার্ড নিয়ে বসলে সে রাত ভোর না হওয়া পর্যন্ত চলে ।
মেসে উঠার প্রথম দিকে দেখতাম ভাইয়েরা রাত ১টার পর প্রায় বাইরে যায় । ভাজা মাংস দিয়ে তন্দ্রু রুটি খেতে । একদিন বড়ভাই জোর করে নিয়ে গেলেন । ভেতরে ভেতরে আমি তো রেগে আগুন । ঐদিনের পর ভাইয়ারা থাকা পর্যন্ত আর মিস হয়নি ।
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪