নীলু মুখ হা করে বলল, 'দেখেছিস, আমার দাঁতে ব্যথা?'
অলক বলল, 'ব্যথা কি দেখা যায়রে নীলু?'
নীলু বলল, 'অ্হ, ব্যাথাতো দেখা যায় না! তাহলে?'
অলক বলল, 'তাহলে কি?'
নীলু বলল, 'তাহলে আমি তোকে কি করে দেখাব যে আমার দাঁতে ব্যাথা?'
অলক বলল, 'দেখাতে হবে না, আমি জানি'।
নীলু বলল, 'না দেখেও জানিস?'
অলক বলল, 'হু, ব্যাথাদের জানতে হলে দেখতে হয় না'।
নীলু বলল, 'তাহলে?'
অলক বলল, 'তাহলে আবার কি? বুঝতে হয়। ব্যাথাদের জানতে হলে বুঝতে হয়'।
নীলু বলল, 'তুই কি করে বুঝিস?'
অলক বলল, সে এক রহস্য!'
নীলু বলল, 'কি রহস্য?'
অলক বলল, 'সেই রহস্যের নাম ভালোবাসা'।
নীলু বলল, 'সত্যি?'
অলক বলল, 'হু, সত্যি'।
নীলু বলল, 'তাহলে তুই আমাকে ভালবাসিস'।
অলক বলল, 'বাসি'।
নীলু ফিকফিক করে হাসল, 'তুই মাশাল্লাহ হ্যাংলা আছিস বেশ! যখন তখন যেখানে সেখানে ভালোই হ্যাংলামী মারতে শিখে গেছিস!'
অলক কিছু বলল না, হাসল। সেই হাসি কান্নার চেয়েও করুণ। ব্যাথাতুর। কিন্তু নীলু কেবল অলকের হাসিটাই দেখল। হাসির আড়ালের কষ্টটা না। কারণ নীলু জানে না, কষ্টদের জানতে হলে দেখতে হয় না, বুঝতে হয়। সেই বোঝাবুঝি এক রহস্য। এই রহস্যের নাম ভালোবাসা। এই রহস্য জগতের সকলেই জানে না, কেউ কেউ জানে। কেউ কেউ অলক হয়, বাকীরা নীলু।
~ রহস্য/ সাদাত হোসাইন
০৯/০৪/২০১৫