প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছে গুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
###
(২) সাদা কালো মাছরাঙা। নরসিংদীর শিবপুর থানার নোয়াদিয়া গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
(৩) দৃপ্ত শপথ। নরসিংদীর ঘাশিরদিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১০ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা স্মরণে ‘দৃপ্ত শপথ’ নামের একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে।
(৪) পেপে ফুল। আড়াইহাজারের গোপালদী থেকে তোলা ছবি।
(৫) চমৎকার এই ফুলের ছবি তুলেছি আমাদের ব্লগে ফুলের রানী নামে খ্যাত কামরুন নাহার বীথি আপুর ছাদ বাগান থেকে, আশা করছি উনিই ফুলটার নাম জানাবেন।
(৬) জাফলং এর শেষ বিকালে তোলা ছবি।
(৭) কসাই পাখি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ থেকে তোলা ছবি।
(৮) পাট নেওয়ার এই ছবিটাও আমিরগঞ্জ থেকেই তোলা।
(৯) সোনাদিয়া সীবিচ।
(১০) সোনাদিয়া দ্বীপের একটা জেলে কুঁড়ে।
(১১) কাটরা মসজিদ, ভারতের মুর্শিদাবাদে নবাব মুর্শিদ কুলিখাঁ নির্মিত মসজিদ এটি। এই মসজদের সিড়ির নিচেই রয়েছে ওনার কবর।
(১২) নরসিংদীর থানা ঘাট থেকে তোলা মেঘনা নদীর ছবি।
(১৩) কু ঝিক ঝিক, রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা থেকে তোলা ছবি।
(১৪) এটি বাংলাদেশের সব থেকে উঁচু গ্রাম পাসিং পাড়া। কেওকারাডাং এর পরেই এই গ্রামের অবস্থান।
(১৫) পাহাড়ি এই গ্রামের নাম জাদিপাই। পাসিং পাড়া থেকে কেউকারাডাং এর উল্টো দিকে নেমে গেছে যেই রাস্তা সেটি ধরে নেমে গেলেই এই জাদিপাই গ্রাম। এখানে একটা চমৎকার ঝর্ণাও রয়েছে।
(১৬) আতা গাছে তোতা পাখি না, এটা স্ত্রী মৌটুসি পাখি, নরসিংদীর বটেশ্বর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
(১৭) পারাপার, বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ শীতলক্ষা পারি দেয় এখান দিয়ে।
(১৮) পথের ধারে খেজুর গাছে পাকা খেজুর, এটি পলাশ থেকে তোলা ছবি।
(১৯) শালবন বিহার, কুমিল্লার ময়নামতি থেকে তোলা ছবি।
(২০) বগালেক, ২৭০০ ফুট উচ্চতার বগালেকের জন্ম ইতিহাস নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ি গ্রামগুলোয় একটি মজার লোককথা প্রচলিত আছে। সেটি অনেকটা এরকম – “অনেক অনেক দিন আগে একটি চোঙা আকৃতির পাহাড় ছিল। দুর্গম পাহাড় ঘন অরণ্যে ঢাকা। পাহাড়ের কোলে বাস করত নানা নৃগোষ্ঠীর মানুষ। ম্রো, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা প্রভৃতি। তো সেই পাহাড়ের নিকটবর্তী গ্রামগুলো থেকে প্রায়ই গবাদিপশু আর ছোট শিশুরা ওই চোঙ্গা আকৃতির পাহাড়টিতে হারিয়ে যেতো! অতিষ্ঠ গ্রামগুলো থেকে সাহসী যুবকদের দল এর কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে দেখতে পায়, সেই পাহাড়ের চূড়ার গর্তে এক ভয়ঙ্কর দর্শন বগা বাস করে। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। তারা কয়েকজন মিলে ড্রাগনটিকে আক্রমণ করে হত্যা করে ফেলে। ড্রাগনটির মৃত্যুর সাথে সাথে ড্রাগনের গুহা থেকে ভয়ঙ্কর গর্জনের সঙ্গে আগুন বেরিয়ে এসে পুড়ে দেয় আশপাশ। নিমিষেই সেই পাহাড়ের চূড়ায় মনোরম একটি পাহাড়ি লেকের জন্ম হয়”
তবে বগালেকের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে বাংলাদেশের ভূ-তত্ত্ববিদগণ মনে করেন বগালেক মূলত মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭