লঙ্কাউই উত্তর-পশ্চিম মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে ৩০ কিমি. দূরে আন্দামান সাগরে ৯৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। ভাটার সময় আরও পাঁচটি দ্বীপ জেগে ওঠে। দ্বীপগুলো মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের অন্তর্গত। এদের মধ্যে সুবৃহৎ দ্বীপটিই লংকাউইয়ে দ্বীপ নামে পরিচিত। ইংরেজী শব্দটা (Langkawi), বাংলা উচ্চারণ লঙ্কাউই বা লংকাবি বা লংকাওয়ে যাই হোক না কেন এটি একটি অসাধারণ দর্শনীয় স্থান। Langkawi মানে হলো লালচে-বাদামী ঈগলের দ্বীপ যাদের পেটের দিকটা সাদা। ঈগল মালয়েশিয়ার জাতীয় প্রতীক। লঙ্কাউই দ্বীপপুঞ্জের বারাসা আইল্যান্ডে ঈগলের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। মূল দ্বীপটার আয়তন প্রায় ২৫ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের দুই-তৃতীয়াংশই বন-আচ্ছাদিত, পাহাড়-পর্বত ও প্রাকৃতিক গাছপালাবেষ্টিত। হোপিং আইল্যান্ড বলতে আসলে কি বুঝানো হয়েছে আমি ঠিক জানিনা, তবে এখানে অনেকগুলো দ্বীপ আছে স্পীড বোটে চড়ে সেগুলো দেখাকেই হোপিং আইল্যান্ড বলা হয়েছে এটা বেশ বুঝতে পারি। আসুন আমরা স্পীড বোটে চড়ে বসি........
(২) টুরিষ্ট বাস থেকে নামতেই গাছের ফাঁক দিয়ে এমন সুন্দর দৃশ্য আমাদের নজরে পড়ল।
(৩) একটু এগিয়ে যেতেই এই জেটিটা নজরে পড়ল।
(৪) জেটির দুইপাশে এমন সারিবদ্ধ অনেক বোট দাঁড়িয়ে।
(৫) শুরু হলো আমাদের হোপিং আইল্যান্ড।
(৬) স্পীড বোটে চড়ার সময় লাইফ জ্যাকেট পড়া বাধ্যতামূলক। প্রথম সিটের ডান পাশের জন আমাদের মালয়েশিয়ান গাইড সাবরী, তার পাশে ফাঁকা সিট খানা আমার।
(৭/৮) জলের মাঝখানে এমন টুকরো টুকরো অনেক দ্বীপ রয়েছে, যা দেখতে সত্যিই অনেক চমৎকার।
(৯) এখানকার স্পীড বোটগুলোর গতি সত্যিই মনে কাপন ধরায়, হঠাৎ বাসের মতো ব্রেক করে বোট থামিয়ে আমাদের গাইড সাবরী বললো বামে তাকান, এটা হলো "প্রেগন্যান্ট লেডি আইল্যান্ড"। তারপর উনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন, ডান পাশে প্রেগন্যান্ট মহিলার মাথা, সে শুয়ে আছে। দেখলাম সত্যিই তাই।
(১০/১১) তারপর এমন পাহাড়গুলোর ফাঁকে ফাঁকে আমাদের আরো অনেক দূর নিয়ে চললো, মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গের পথে চলছি।
(১২) একসময় আমরা জিওফরেস্ট পার্ক দ্বীপে, সামনে দেখা যাচ্ছে এর জেটি। দ্বীপের ভেতরে একটা চমৎকার মিঠা পানির লেক আছে। সেখানে কৃত্রিম ও অকৃত্রিম ভাবে একটা চমতকার পুল বানানো হয়েছে। চারপাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝখানে একটা প্রাকৃতিক সুইমিং পুল, পুরোপুরি ভিন্ন এক জগত। সেটা নিয়ে অন্য কোন সময় পোষ্ট দিবো।
(১৩/১৪) এক সময় আমরা চলে এলাম ঈগল নেষ্ট বা ঈগল ফিডিং দ্বীপে। মূলত লঙ্কাউই মানেই হলো "ঈগল পাখির দ্বীপ"। ঈগল পাখিগুলোকে বিশেষ উপায়ে দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে এনে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বেলা করে ঈগলের জন্যে ঐ দ্বীপটির আশপাশের সাগরে তাজা মাছ খাবার হিসেবে দেয়া হয়, যা ঈগলগুলো শিকার করে খেতে পারে।। ফলে ঈগলগুলোকে শিকারের অভাবে এ দ্বীপ ছেড়ে দুরে কোথাও যেতে হয়না। তাছাড়া স্পীড বোট দিয়ে পর্যটকদের ঘুরতে নিয়ে চলে ওরাও মুরগীর চামড়া মাছ এসব দেয়, যার কারণে ওরা বনের ভেতর থেকে ঝাকে ঝাকে ছুটে আসে বাহিরে।
(১৫) স্পীড বোটগুলো মাঝে মাজে এমন প্রতিযোগিতা করে চলে যে, মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
(১৬) দ্বীপের মাঝে দেখা যাচ্ছে একটা বাতিঘর।
(১৭/১৮) হোপিং আইল্যান্ডে আমার সব থেকে ভালো লেগেছে বেরাস বাসাহ আইল্যান্ডকে। এখানে জেটিতে নামার সময় স্বচ্ছ জলের তলায় এমন হাজার হাজার মাছ দেখে সত্যিই আমি চমৎকৃত।
(১৯/২০) বেরাস বাসাহ আইল্যান্ড, মুগ্ধ আমি এর রূপে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭