মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে ৬ কিঃমিঃ উত্তরে মক্কা-মদীনা সড়কে (আল-হিজরাহ রোডে) অবস্থিত এ মসজিদটি ‘মসজিদে আয়েশা’ নামে পরিচিত। বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে তার ভাই আব্দুর রহমানের সাথে হারামের বাইরে এখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য পাঠিয়েছিলেন। মসজিদটি ইসলামী শিল্পনৈপুণ্যের এক অনুপম নিদর্শন। অত্র মসজিদটি মসজিদ হারাম এলাকার বাইরে অবস্থিত। যেখান থেকে মক্কাবাসীগণ ওমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধে থাকেন। বিদেশী হাজীরাও ওখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বেঁধে থাকেন যা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। আমিও আয়েশা মসজিদ থেকে ওমরাহ এর উদ্দেশ্যে দুইবার ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমি কোন বিতর্কে যাচ্ছিনা, আমি শুধু মসজিদের কয়েকটি ছবি নিয়েই আজকের পোষ্ট সাজালাম।
(২/৩) ওমরাহর ইহরাম বাধার উদ্দেশ্যে মজিদে হারামের পাশ থেকে অনেকে বাসে আবার অনেকে মাইক্রোবাস রিজার্ভ নিয়ে আয়েশা মসজিদে চলে আসেন।
(৪/৫) দুটি মিনার ও একটি গম্বুজ নির্মিত ও খেজুর গাছ পরিবেষ্টিত আয়েশা মসজিদে ওমরাহ কারীদের আনাগোনা সব সময় লেগেই থাকে।
(৬) ইহরাম বাধার আগে পাক-পবিত্র হওয়ার নারী ও পুরুষদের জন্য এখানে রয়েছে আলাদা বেশ কিছু ওজু ও গোসলখানা।
(৭/৮/৯) ইহরামের জন্য দরকারি প্রায় সব কিছুই রয়েছে এই ফুটপাতের মার্কেট গুলোতে, তবে একটা লক্ষণীয় বিষয় হলো এখানকার দোকানীগুলো প্রায় সবাই মহিলা।
(১০/১১) মসজিদের আশে পাশে রয়েছে প্রচুর জালালী কবুতর।
(১২) ইহরাম বাধতে আশা লোকজন সর্বদাই জালালী কবুতরগুলো খাবার দিচ্ছে, যার জন্য ওরা এখানে বেশ আয়েশেই জীবন কাটাচ্ছে।
(১৩) আয়েশা মসজিদের ভেতরের অংশ।
(১৪) মসজিদের বাহিরের খেজুর গাছগুলোতে সবে মাত্র খেজুর ধরা শুরু করেছে।
(১৫) সব শেষে, ইহরামের কাপড় পড়া অবস্থায় আমিও আমার দুই সঙ্গী।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯