প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো । ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
(২) গোধূলি, কক্সবাজার সীবিচ থেকে তোলা ছবি।
(৩) লাল শাপলা বা রক্ত কমল, জাহাঙ্গীর নগর থেকে তোলা ছবি।
(৪) কৃষকদের খাবার খাওয়ার এই ছবিটা তুলেছি নরসিংদীর বাহের চর নামক মেঘনা নদীর একটা চর থেকে।
(৫) পাথর তোলার এই ছবিটা সুনামগঞ্জের তাহির পুরের যাদুকাটা নদী থেকে তোলা।
(৬) শিশু, বান্দরবান থেকে তোলা ছবি।
(৭) শাপলা-শালুক ফুল বিক্রেতার এই ছবিটা তুলেছি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের সামনে থেকে।
(৮) মাছ বিক্রি করে গ্রামে ফেরৎ আসার এই ছবিটা তুলেছি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে যাওয়ার রাস্তা থেকে।
(৯) উয়ারী-বটেশ্বরে ২০০৬ সালে ইট নির্মিত এই প্রাচীন স্থাপত্যটি আবিস্কৃত হয়। শস্যক্ষেতের নালা কাটার সময় দৈবাৎ স্থাপত্যটির ইট বের হয়। ২০০৭,২০০৮ ও ২০০৯ সালেপ্রত্নতাত্ত্বিক খননে ৩২ ফুট বাই ১৮ ফুট আয়তনের ইটের এই বিশেষ স্থাপত্যটির অভ্যন্তর ভাগ উম্মোচিত হয়। মাটির নিচে ১২ ফুট উচ্চতায় ৪টি ইটের দেয়াল এখনো দাঁড়িয়ে আছে। স্থাপত্যে কোন দরজা জানালা নেই। স্থাপত্যটি ধাপে ধাপে নেমে গিয়ে উল্টো পিরামিডের আকাড় ধারণ করছে। স্থাপত্যটি কোন ধরনের কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল কিংবা কোন ধরনের প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োগ এই ব্যতিক্রমী স্থাপত্য-নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে গবেষণার এ পর্যায়ে সুনিদ্রিষ্ট নির্মাণকাল জানা না গেলেও স্থাপত্যটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ সাংস্কৃতিক স্তরকে নির্দেশ করে বলা যায়।
(১০) বাংলাদেশের সিমান্ত উপজেলা তেতুলিয়ার তেতুল তলায় একজন দোকানী।
(১১) মায়া দ্বীপ (নুনের টেক), সোনার গাঁও থেকে তোলা ছবি।
(১২) ফড়িং, নরসিংদী সদরের সোনর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
(১৩) আগুন লাগা এই শাপলা পুরকুটাও সোনর গ্রামেরই।
(১৪) ঝালমুড়ির দোকানের এই ছবিটা নরসিংদীর রায়পুরা থানার পীরপুরের ফতেহ আলী শাহ এর মাজার এলাকা থেকে তোলা।
(১৫) রাজবিবি মসজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের খানিয়াদিঘীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ, যা গৌড়ের প্রাচীন কৃতিগুলোর অন্যতম মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে কোন এক রাজবিবি মসজিদটি নির্মান করেন।
(১৬) সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে তোলা ছবি।
(১৭) সোনাদিয়া দ্বীপ যাওয়ার পথের ছবি।
(১৮) মেঘনা নদীর পারে কোন একটা নাম না জানা গ্রামের ছবি।
(১৯) পরিযায়ী পাখি, টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে তোলা ছবি।
(২০) জেলে নাওয়ের এই ছবিটা তুলেছি নিঝুম দ্বীপ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৫