নয়)
২৩ মার্চ পাকিস্থান দিবসে ছাত্ররা 'প্রতিরোধ দিবস' পালন করে এবং শেখ মুজিবের বাড়িতে ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেয়। এ সময় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা অনেকেই সাক্ষী দিবেন, সংশ্লিষ্ট ছাত্র নেতাদের প্রতি শেখ মুজিব কতটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্থান দিবসে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা নিজ বাড়িতে ও গাড়িতে তোলার পরে স্বাভাবিক অবস্থায় শেখ মুজিবের সাথে ইয়াহিয়া খানের আর আলোচনা বৈঠকের অবকাশ থাকার কথা নয়। কিন্তু দেখা গেছে- স্বাধীনতার পতাকা আলোচনায় কোনই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি্ এর অর্থ নিশ্চয়ই এই নয় যে, ইয়াহিয়া খান স্বাধীন বাংলাদেশ মেনে নিয়েছেন। বরং এর স্বাভাবিক অর্থ দাঁড়ায় এই ইয়াহিয়া সন্তুষ্ট হয়েছেন অথবা তাকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে যে, পাকিস্তান দিবসে নিজ বাড়িতে ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার যে অর্থ- শেখ মুজিবের রাজনীতি সেই অর্থ বহন করে না। ইয়াহিয়া খান নিশ্চয়ই বুঝে নিয়েছেন অথবা তাকে বুঝান হয়েছে যে, এই পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারটা উত্তেজিত যুবকদের শান্ত রাখার একটা কৌশল মাত্র, শেখ মুজিবের প্রকৃত রাজনীতি এটা নয়। এবং এ কারনেই, স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলার পরেও বরং আলোচনায় আরো অগ্রগতি হয়েছে এবং একটা বড় অগ্রগতি হয়েছে।
দশ)
এই বড় অগ্রগতির খবরটা শেখ মুজিব বা আওয়ামীলীগ আজ পর্যন্ত গত ৩৭ বছরেও খোলামেলা দেশবাসীকে জানাননি। তবে, এ সংক্রান্ত প্রথম ইংগিতটি দিয়েছেন ভুট্টো ২৪ মার্চ, ৭১ সকালে। এ সম্পর্কে দি ডনের (পিপিআই পরিবেশিত) সংবাদটি ছিল: "Mr. Bhutto held a night-long session on Monday with his party men examining the "Terms' of the Broad Agreement and Understanding reached between president Yahiya Khan and Sheikh Muzibur Rahman to end the persent political crisis in the country"
(The Dawn, 25 March, 1971)
এর পরিষ্কার অর্থ হচ্ছে, ২২ মার্চ দিবাগত রাতের আগেই মুজিব ইয়াহিয়ার মধ্যে একটা Broad Agreement ও Understanding হয়েছিলো।