এ মূহুর্তে মারা গেলে সঙ্গে যাবে এক পিছ সাদা কাপনের কাপড়। তিন দিন পড়ে সম্পত্তির বাগ বাটোয়ারা নিয়ে আত্মীস্বজন হাক ডাক শুরু করবে। ঠিক এক বা দু বছর পর নামটি মুখে উচ্চারণেরও সময় থাকবে না কারো। তবে কেন এত খাই খাই। যে কোন প্রফেশনে ইন হওয়ার সময় যে শপথনাম নিয়ে ইন হয়। কিছুদিন যাওয়ার পর সে শপথনামার কথা মনে থাকেনা কেন ? সকল পেশার ক্ষেত্রেই একই অবস্থা-নির্ধারিত বেতনের অতিরিক্ত হিসেবে উপরি কামাই করার কি ব্যবস্থা করা যায়। আগে দেখতাম বা শুনতাম এক শ্রেণীর লোক ব্যবসা করছে, রাজনীতি করছে । আর এক শ্রেণীর লোক দেশ সেবার ব্রত নিয়ে সরকারী সংস্থায় চাকুরী করছে। এখন দেখা যাচ্ছে সবাই ব্যবসায়ী । এ নব্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে করতে এখন পরিবার পরিজনের সাথেও তা শুরু করে দিয়েছে। এ ব্যবসায়ী মনোভাবের কারণে আশানুরুপ অগ্রগতি কোন ক্ষেত্রেই সাধিত হচ্ছে না। আর এসব নব্য ব্যবসায়ীদের কারনে সত্যিকারের সৎ ও দেশের সেবা দানকারী মেধাবী মানুষগুলো কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে। অসৎদের জাল এমন ভাবে বিস্তৃত যে, তারা কালো টাকা ও লভিংয়ের জোরে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে সৎ ব্যক্তিটিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে পারে। অবশেষে বাধ্য হয়ে সৎ মানুষটি নিরাস হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে সমাজের, দেশের। কারণ তার মেধাকে সে কাজে লাগাতে পারছে না অসৎদের কুট চালের কারনে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন মুখোশদারীরা লুকিয়ে রয়েছে। আসুন এদেরকে ঘৃণা করি। এ ব্যবসায়ী মুখোশদারী ব্যক্তিদের নিকটই আবার আমাদের প্রতিনিয়তই ধর্না দিতে হয় নানা কাজে। এদেরকে চিহ্নিত করে ঝেটিয়ে না ফেলা হলে আমাদের মেধাবীরা তাদের মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে পারবে না। অসৎদের দেখাদেখি একদিন সে মেধাবীটিও অসৎদের দলে ভিড়ে যাবে। হে মুখোশদারী অসৎতেরা এত দরকান কেন-তোমাদের ?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮