মানব সভ্যতার ইতিহাসে পরিবহন ব্যবস্থার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ও ঝুকিপূর্ণ। বিগত অর্ধশতাব্দীতে সারা বিশ্বে যানবহনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজন সমস্যাটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর ফলে ট্রাফিক আইন অমান্যের প্রবনতাও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৯৮০ সাল হতে বাংলাদেশে যানবাহনের সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রবণতার কারণে বর্তমানে বিদ্যমান সড়ক অবকাঠামোর উপর অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বিধায় এ সমস্যার যথাযথ প্রতিকার প্রয়োজন। কার্যকরভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শহর এলাকার পাশাপশি হাইওয়েতেও প্রয়োজন । ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রতিনিয়ত হাইওয়েতে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে। রাস্তার ক্রটিপূর্নসংযোগস্থ, হাইওয়ের উপর অবস্থিত বাজার,রাস্তার একই লেনে ধীরগতি এবং দ্রুত গতির যানবাহন চলাচল রাস্তা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার প্রতি সুস্পষ্ট হুমকি হয়ে উঠেছে এর ফলে সড়ক পথে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বাড়ছে দূর্ঘটনার পরিমান এর সাথে সমান তালে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসাধারণের ট্রাইফিক আইন অমান্য করার প্রবনতা। আমরা হয়তো বা অনেকেই জানিনা একটি অগ্রসরমান সড়ক ব্যবস্থাপনায় কত পার্সেন্ট রাস্তা থাকা প্রয়োজন। ২৫ % ব্যবহার যোগ্য রাস্তার মধ্যে আমাদের রয়েছে মাত্র ৭%। এ ৭% এর মধ্য হতেও ২ % বিভিন্ন কারণে বেদখলে রয়েছে । মাত্র ৫% সড়ক আমরা বর্তমানে ব্যবহার করতে পারছি । আপনার আমার অসচেতনতার কারনে আজকে আমাদের ট্রাফিক শৃঙ্খলার এ অবস্থা । এ দূরর্ভিসহ অবস্থাপনার জন্য প্রতিদিন সড়ক দূর্ঘটনার পরিমান বৃদ্দি পাচ্ছে আর হারিযে যাচ্ছে এক একটি অমূল্য জীবন । এ দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থাপনা হতে বের হয়ে আসার জন্য ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগও একটি স্বপ্ন ও বিশ্বাস নিয়ে ‘’স্বপ্নের ফেরিয়ালা সেজে” স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়/গুরুত্বপূর্ণ স্থান/মার্কেট/শপিং মল/বাস ষ্টেশন ইত্যাদি জনসমাগস্থলে ‘’ট্রাফিক ডকুমেন্টারী’’ নামে একটি সচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করেছে । এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের ওয়ারী ট্রাফিক জোন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিঃ উপ-পুলিশ কশিনার সাইদুল ইসলাম ও সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ এর সুযোগ্য নেতৃত্বে মে-২০১৭ মাসে স্কুল/কলেজ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৪টি কর্মশালার আয়োজন করেছে। ওয়ারী ট্রাফিক জোন এলাকাটি ৫টি থানা নিয়ে গঠিত । থানাগুলো হচ্ছে যথাক্রমে-ওয়ারী, সূত্রাপুর, গেন্ডরিয়া,শ্যামপুর, কদমতলী ।এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র/ছাত্রী/শিক্ষক/ড্রাইভার/পথচারী/ডাক্তার/উকিল সবাই শর্তপুত্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সচেতনতামূলক কর্মশালার মাধ্যমে যে বার্তাটি আমরা দেয়ার চেষ্টা করছি তা হলো আর নয় অসেচনতা,আর নয় আইন অমান্য,আর নয় দূর্ঘটনা। দেশটি আপনার আমার সবাইর । দেশকে ভালবাসুন,নিজে বাঁচুন এবং অপরকে ভালোভাবে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে যান। মে-২০১৭ মাসে ওয়ারী ট্রাফিক জোনের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে তা হল- ১) উজডম আইডিয়াল স্কুল, ২) সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কল এন্ড কলেজ, ৩) জুরাইন প্রেস ক্লাব, ৪) ধোলাইখাল ট্রাক ষ্ট্যান্ড, ৫) পোস্তাগোলা ট্রাক ষ্ট্যান্ড, ৬) ভিক্টোরিয়া পার্ক, ৭) হোটেল সুপার, ৮) বিক্রমপুর প্লাজা, ৯) কসমোপলিটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, ১০) সেন্ট গ্রেগারীজ স্কুল, ১১) ঢাকা কটন মিলস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ১২) জুরাইন শেখ কামাল উচ্চ বিদ্যালয়, ১৩) ভাষা প্রদীপ উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪) রাজধানী সুপার মার্কেট, ১৫) গ্রাজুয়েটস উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬) মুরাদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্রঅলয়, ১৭) পূর্ব জুরাইন উচ্চ বিদ্যালয়, ১৮) ফকিরবানু ভবন, ১৯) সমীরননেছা উচ্চ বিদ্যালয়, ২০), রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়, ২১) ইষ্টএন্ড ক্লাব, ২২) সলিমুল্লাহ কলেজ ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১