সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
১) নাম ঃ মোঃ আনিসুর রহমান।
২) পিতার নাম ঃ মৃত মোঃ দানেশ মিঞা।
৩) মাতার নাম ঃ মৃত মোসাঃ সালেহা খানম।
৩) জাতীয়তা ঃ বাংলাদেশী।
৪) জম্ম তারিখ ঃ ১৩ জুলাই ১৯৪২ ইং।
৫) স্থায়ী ঠিকানা ঃ গ্রাম ও ডাকঘর-কলমা, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জ।
২। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ ক্রীড়া সংগঠক ।
ক) তিনি একজন প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া সংগঠক। ১৯৮৩ হতে ১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন। এ সময়ে তিনি ঢাকা মহানগরী লীগ কমিটি, টূর্ণামেন্ট কমিটি, যুব ভলিবল কমিটি, রেফারীজ কমিটির বিভিন্ন পদে অবদান রাখেন।
খ) ১৯৯৬-২০০৭ সময় কালে তিনি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক পদে নির্বাচিত এবং একই সাথে তিনি সিনিয়র স্পোর্টস অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন।
গ) ২৬/০৮/২০০৭ হতে ০৯/১২/২০০৮ সময় কালে তিনি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ১০/১২/২০০৭ হতে ০৭/১১/২০০৮ সময় কালে ফেডারেশনের এডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঘ) ০৮/১১/২০০৮ হতে তিনি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের নির্বাচিত সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি ভলিবল রেফারীজ কমিটির চেয়ারম্যান, স্পোর্টস অর্গানাইজিং কমিটির সহ-সভাপতি এবং কোচিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ঙ) ০৮/১১/২০০৮ হতে তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১১তম এস,এ গেমসের সাংগঠনিক কমিটিও টেকনিক্যাল কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদক করেন।
ছ) তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন কর্তৃক ২০১১ সনে আয়োজিত অলিম্পিক ডে-রাণ কমিটির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন।
জ) তিনি ২০১১ সনে বাংলাদেশ অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক চীনের হাইয়াং এ ২০১২ সনে অনুষ্ঠিতব্য ৩য় এশিয়ান বিচ গেমসের জন্য শেফ ডি মিশন মনোনীত হন এবং ২০১১ সনের সেপ্টেম্বরে হাইয়াং এর সিডিএম সভায় যোগদান করেন।
ঝ) জনাব আনিস ওয়াপদা ক্লাব/বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে শ্রম ও কল্যাণ পরিদপ্তরে ১৯৯৬ সন হতে কর্মকর্তা পদে চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও অঞ্চলে শ্রমিক কর্মচারীদের চিত্ত বিনোদনের লক্ষ্যে ভলিবল, এ্যাথলেটিকস, ফুটবল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
ঞ) তিনি ১৯৮২ সনে অলিম্পিক সলিডারিটি কোর্সে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্ত্বের স্বাক্ষর রাখেন এবং ১৯৯৮ সনে অলিম্পিক এ্যাডমিনিসট্রেটিভ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
ট) তিনি ১৯৮৬ সনে বাংলাদেশ সরকার কর্র্তক বাংলাদেশ ও বার্মা এ দুু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বার্মায় শুভেচ্ছা মিশনে প্রেরিত জাতীয় ভলিবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন।
ঠ) তিনি ২০০৭ সনে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ ভলিবল দলের হেড অব ডেলিগেশন এর দায়িত্ব পালন। এই টূর্ণামেন্টে আফ্রিকান জায়ান্ট নাইজেরিয়া এবং ওশানিয়া গ্রুপের শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে বাংলাদেশ ভলিবল দল প্রশংসা অর্জন করে।
ড) ২০০৯ সনে থাইল্যান্ডের নাখনপাথম শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণকারী জাতীয় মহিলা দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন।
ঢ) ১৯৯৬-১৯৯৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরীকালে যাত্রাবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ক্রীড়া বিষয়ক অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তদুপরি ১৯৭২-১৯৭৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারের নাটকে অভিনয় করেন।
ণ) এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টূর্ণামেন্ট ও আন্তর্জাতিক টেনিস টূর্ণামেন্টে কাজের সুযোগ লাভ করেন।
খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত বিবরণী ঃ রেফারীং ।
ক) ১৯৭৯ সনে জাতীয় ভলিবল রেফারী (১ম শ্রেণী) পদোন্নতি প্রাপ্তি । ১৯৮৮ সনে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় আন্তর্জাতিক ভলিবল রেফারীজ কোর্সে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে দেশে-বিদেশে খেলা সফল পরিচালনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন (ঋওঠই) এর স্বীকৃতি লাভ।
খ) ১৯৮৯ সনে ইসলামাবাদ সাফ গেমস, ১৯৯৩ সনে ঢাকা সাফ গেমস, ১৯৯৩ সনে থাইল্যান্ডের কোরাত মহানগরীতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান সিনিয়র ভলিবল চ্যাম্পিয়ণশীপ, ১৯৯৪ সনে মাদ্রাজ সাফ গেমস, ১৯৯৯ সনে কাঠমান্ডু সাফ গেমস, ২০০৪ সনে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসের খেলা পরিচালনা। তন্মধ্যে ১৯৯৩ সনে ঢাকা সাফ গেমস (পুরুষ) এবং ১৯৯৯ সনে কাঠমান্ডু সাফ গেমস (মহিলা) এর ফাইনাল খেলা পরিচালনায় তাঁর সুযোগ লাভ একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয়। এছাড়াও ১৯৭৬ সন হতে ২০০৪ পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ খেলা পরিচালনায়ও তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
৩। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ক) ২৬/০৮/২০০৭ হতে ০৯/১১/২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি সকলের সহযোগিতায় ফেডারেশনের তহবিলে ৪০,০০,০০০/-(চল্লিশ লক্ষ) টাকা স্থায়ী জামানতের ব্যবস্থা করেন ; যা একটি রেকর্ড এবং তার মেয়াদকালকে ভলিবলের স্বর্ণালী কাল হিসাবে ধরা হয়।
খ) ২০০৭ সনে কলকাতায় অনুষ্ঠিত প্রথম ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসে বাংলাদেশ ভলিবল দল ৩-০ ব্যবধানে হেরে গেলেও ২৬/০৮/২০০৭ হতে ০৯/১১/২০০৮ পর্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে কর্মদক্ষতার মাধ্যমে ফেডারেশনের অন্যান্যদের সহযোগিতায় দ্বিতীয় ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসে জাতীয় ভলিবল দল ৩-০ সিরিজের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গ দলকে হোয়াইট ওয়াশ করে।
গ) তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া লেখক। তাঁর বেশ কয়েকটি ক্রীড়া বিষয়ক বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দৈনিক সংবাদপত্র, সাময়িকী ও পাক্ষিক ক্রীড়া জগতে নিবন্ধন-প্রতিবেদন লিখে আসছেন।
ঘ) তাঁর বাংলা রচিত বই এর মাধ্যমে দেশের শারীরিক শিক্ষা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ভলিবলের আইন কানুনের হাল নাগাদ তথ্য সর্ম্পকে অবহিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছেন।
ঙ) বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের বিভিন্ন কমিটির বিধি, উপ-বিধি, তথ্য সংরক্ষণ, কার্যপদ্ধতি সহজী করণ বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
চ) ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে ২০০৭ সনে ভলিবলের যে সকল বরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড় হারিয়ে যেতে বসেছিল তার প্রচেষ্ঠায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয় ; যা বাংলাদেশ ভলিবলের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
ছ) আমার এই প্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে ভলিবলের ্উইকিপিডিয়া বলা হয়ে থাকে। কারণ ভলিবল সংক্রান্ত যে কোন জটিল সমস্যার সমাধান তিনি অতি সহজেই ব্যাখ্যা করেন।
৪। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রাপ্ত পুরস্কার ঃ
ক্রমিক নং পুরস্কার/সম্মাননা/পদকের নাম ও প্রাপ্তীর নাম ও বৎসর পুরস্কার/সম্মাননা/পদক যে কাজের জন্য পাইয়াছেন।
০১। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (ওঙঈ) কর্তৃক ঠড়ষঁহঃববৎ উরঢ়ষড়সধ ক্রীড়াঙ্গঁনে স্বেচ্ছা শ্রমের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ওঙঈ কর্তৃক উরঢ়ষড়সধ প্রাপ্তী ।
০২।
আন্তর্জাতিক রেফারী হিসেবে খেলা পরিচালনার স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট লাভ। ১৯৮৯ ঃ ইসলামাবাদ সাফ গেমস।
১৯৯৩ ঃ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়ান জুনিয়র ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ ।
১৯৯৩ ঃ ঢাকা সাফ গেসম।
১৯৯৩ ঃ থাইল্যান্ডের কোরাত মহানগরীতে অনুষ্ঠিত
এশিয়ান সিনিয়র ভলিবল চ্যাম্পিয়ণশীপ ।
১৯৯৫ ঃ মাদ্রাজ সাফ গেমস।
১৯৯৯ ঃ কাঠমান্ডু সাফ গেমস।
২০০৪ ঃ ইসলামাবাদ সাফ গেমস।
এ মহান ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্রীড়াঙ্গনে সারাজীবন স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে আসছেন। আমি মনে করি জনাব মোঃ আনিসুর রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণে অন্যন্যসাধারণ অবদান ও সামগ্রিক, জীবনের অর্জন বিবেচনায় তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাইবার যোগ্য একজন আদর্শ/ন্যায় নিষ্ঠাবান ক্রীড়া সংগঠক। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
..............লেখক মোঃ শহীদুল ইসলাম সানু ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১