দেশের নিরাপত্ত বিশ্লেষক,সমাজবিজ্ঞানী,মনোবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে-
১। পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা,
২। কোচিং সেন্টারগুলোতে জঙ্গিবাদে উদ্ধৃত্ত্বকরণ,
৩। অতিরিক্ত সোসাল মিডিয়ায় আসক্তি,
৪। মাদকাশক্তিতে হতাশাবোধ,
৫। রাজনৈতিক আদর্মের অনুপস্থিতি,
৬। সামাজিক বিশৃঙ্কলা,
৭। সুস্থ বিনোদনের অভাব,
৮। অবাধে মোবাইল,ফেইসবুক,টুইটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবাহারের কারণেই বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বিপদগামী হয়ে যাচ্ছে ।
কিন্তু কেউ ধর্মীয় অনুশাসন মেলে জীবন যাপনের কথাটি বলেন নি।
কিন্তু আমার মতে-
ধর্মসুীয় অনুশাসন ও সুস্থ বিনোদনের বিষয়টি এখানে খুবই উল্লেখ্যযোগ্য কারণ বিনোদনের অনেক মাধ্যম রয়েচে তন্মধ্যে প্রথমটিই হলো খেলাধুলা। তরুণ প্রজন্মকে মোটিভেট করে খেলাধুলা। ফিজিকেল ফিট রাখে। মাদকদ্রব্যসহ বাজে অভ্যাস থেকে দুরে রাখে।জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু দূভাগ্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে সরকারী কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে যে সমস্ত নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়,স্কুল-কলেজ গড়ে উঠেছে সে সমস্তু গুলোর কোনটির ক্রীড়া বিভাগ বা ক্রীড়া শিক্ষক নেই । যদিও বা আছে তার কার্যকারীতা নেই বল্লেই চলে। বিপদগামী তরুণ এ প্রজন্মের ভিতর দেশ প্রেমের বীজ ভুনতে হলে একযোগে শিক্ষামন্ত্রণালয়/ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ে কাজ করে যুগউপযোগী শিক্ষা/ক্রীড়ানীতি প্রণয়ন করতে হবে। সর্বপ্রথম জাতীয় পর্যায়ে যারা খেলাধুলা নিয়ন্ত্রণ করেন সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় রাজনীতি মুক্ত করতে হবে এবং নিবেদীত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠকদের জাতীয় পর্যায়ের ফেডারেশনগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নিবেদীত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠক/শিক্ষামন্ত্রনালয়/ক্রীড়া মন্ত্রালয় এর সমন্বয়ে যদি ক্রীড়া/শিক্ষানীতি প্রনীত হয় তবেই এ বিপদগামী তরুণ প্রজন্মকে মোটভেট করে তাদের হ্রদয়ে দেশ প্রেম জাগ্রহত করা সম্ভব । বর্তমানে জাতীয ফেডারেশন গুলোতে দলীয় রাজনীতির ছড়াছড়ি। এমনও দেখা যায় যেে, এক ব্যক্তি একাধিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক,সভাপতি,সহ-সভাপতি,কোষাধ্যক্ষ,উপ-মহাসচিব ইত্যাদির পদগুলো একাই একজন দখল করে আছেন এবং তার সাথে রয়েছে দলীয় পদও, আরো আছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পদে। যদি এক ব্যক্তি এতোগুলো পদে একই থাকনে তাহলে তার দ্বারা খেলাধুলাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া কোন ভাবে সম্ভব নয়।
কাজেই এ সমস্ত দলীয় ব্যক্তিদেরকে জাতীয় পর্যায়ের খেলধুলা নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ হতে সরিয়ে দিয়ে যোগ্য ও নিবেদীত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠকদের দায়িত্ব দেয়া হলে তারা খেলাধুলাকে গ্রাম/ইউনিয়ন/থানা/জেলা/স্কুল/কলেজ ইত্যাদি পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
বর্তমানে যারা খেলাধুলা নিয়ন্ত্রণ করেন তারা নির্বাচিত । কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক সময় যোগ্য লোক আসতে পারেনা।অযোগ্য লোক তার কুট চাল খাটিয়ে নির্বাচিত হয়ে যায়। তাই আমি বলবো জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রনালয়/ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ে সংগঠকদের অতীত কার্যক্রম চুলচেরা বিশ্লশন করে এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত করা উচিত এবং এর সাথে সাথে জাতীয় পর্যায়ে ইন্টার স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিযোগিতাগুলো নিয়মিতভাবে করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬