সংসার সমুদ্রে যারা অসহ্য যন্ত্রণা
সইতে না পেরে শেষে আত্মহত্যা করে,
তাদেরকে আমি মনেপ্রাণে ঈর্ষা করি;
ভালোবেসে ফেলি তাদের প্রকারান্তরে।
যদিও নিন্দুকগণ পিছে লেগে আছে,
ভীরু কাপুরুষ বলে ভৎসনা করে;
তাদের পাত্তা দিই না একদম আমি-
যা খুশি বলুক তারা তাচ্ছিল্যের স্বরে।
আমি যখন ক্ষুধার্ত, তেষ্টায় মরছি
কেউ খাবার দেয় নি; একফোঁটা জল
ছিটিয়ে দেয় নি মুখে কেউ মায়া করে-
এখন তবে করছে কেন কোলাহল?
রিক্তের বেদন বুঝতে পারে না কেউ,
সকলেই মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ায়;
দৈন্যদশা দেখে কেউ কেউ মজা লুটে-
বস্তুতঃ তারা আগুনে আলু পোড়া খায়।
বাঁচতে সবাই পারে, মরার সাহস
আর ক'জনের আছে নিজেরই হাতে?
পৃথিবীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সগর্বে
ক'জন হারাতে পারে দূর নীলিমাতে?
কখনো কখনো এমন সময় আসে,
বেঁচে থাকা খুব অর্থহীন মনে হয়;
পৃথিবীকে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন-
কতটা বেঢপ, সে যে কতটা নির্দয়!
সবার জন্য প্রযোজ্য নয় মানুষের হাতে
তৈরি ওই দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান,
পাপ-পুণ্যের হিসেব চুলোয় পুড়ুক-
নরকই হোক শোকার্তের বাসস্থান।
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
গাজীপুর সদর।