কেমনে কাটিবে দিন বঁধূয়ারে ছাড়া?
একাকি জাগিয়া থাকি নিশীথিনী সারা!
ছিলাম আমি যখন বঁধূয়ার সাথি,
কতো কথাই হইত, কতো মাতামাতি ।
পুকুর পাড়েতে কিংবা লিচু গাছ তলে,
দেখা হইত মোদের প্রত্যেহ বিকালে ।
গল্প-গোজবে হইত বেলা কতো ইতি,
ছিলনা খেয়াল ঘরে ফিরিবার প্রতি!
সুখ-দুঃখ যাতনায় লইত সে ভাগ,
তাহার আমার মাঝে ছিলনা ফারাক ।
বর্ষায় বৃষ্টির জল পড়িত যে গায়ে,
কতো কাব্যগীতি গাঁথা হইত হৃদয়ে ।
রাজহাঁস, পাতিহাঁস ভাসিত যে জলে;
সারাদিন ছুটিতাম খেলিবার ছলে ।
পরিত বঁধূয়া যবে নীলাম্বরী শাড়ি,
অভিভূত হইতাম ভাবিয়া অপ্সরি ।
আজ সে চলিছে একা আপনার দেশে,
ফিরিবেনা কভূ আর পুরনো আবেশে ।
হইবেনা আর কভূ ভালোবাসাবাসি,
মত বিনিময়, খুনসুটি, হাসাহাসি ।
কেমনে বাঁচিব আমি ভুলিয়া তাহারে,
প্রতি শিরায় শিরায় সে বিরাজ করে ।
ভুলাতো যায়না হায় বঁধূয়ার স্মৃতি,
নিশিদিন কাঁদে প্রাণ, জাগে অনুভূতি ।
১৩/০৪/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
৩০ চৈত্র ১৪১৫ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯