ক্ষণিকের দেখা
তারে দেখেছি এক বর্ষা বাদল দিনে,
সে চলছিলো পন্থে একাকী আনমনে।
কী মায়াবী মুখ, হাওয়ায় চুল ওড়ে;
লাল দুটি চঞ্চু, মমতা নয়ন জুড়ে।
ধীরস্থির চলন; সেই চলনে ছন্দ;
কামিনীর সুবাসে বিরাজিছে আনন্দ।
প্রকৃতি মগ্ন নানান যজ্ঞ আয়োজনে,
তার আগমন সময়ের প্রয়োজনে।
বিপুলা সরোবরে ফুটেছে নানা ফুল,
চতুর্দিকে বৈচিত্র্যতা, পক্ষীরা আকুল।
কতো গান, কতো তান, সাড়া চারিপাশে;
ধন্য হলো ধরা যেন তারে ভালোবেসে।
সহসা আকাশে মেঘ দানা বেধে ওঠে,
সে তখন ঝড়ের বেগে চলল ছুটে।।
১ আষাঢ় ১৪১৮ বঙ্গাব্দ
বৃষ্টি
আকাশের বক্ষে আর হইবেনা স্থান,
এই ক্ষোভে বৃষ্টি করিয়াছে অভিমান।
সবুজের বক্ষ মাঝে পড়িতেছে ঝরে,
সবুজ লইতেছে অতি আপন করে।
পুষ্প-রূপে ভরপুর ধরণীর বুক,
সুভাসিত গহ্বরে লোকায়েছে মুখ।
হিমেল প্রকৃতিতে মিশুকতার ছায়া-
উদ্যমে ছুটিছে পবন হারায়ে হায়া।
ঝটিকা হাওয়ায় পত্র পল্লব ঝরে,
স্নিগ্ধতার আবেশ ধরা শোভিত করে।।
যখন বৃষ্টি নামে
আকাশে ডাকছে হেন গুড়ু গুড়ু মেঘ,
কখনো সখনো বিদ্যুৎ চমকায়;
প্রবল বাতাসে কেঁপে উঠছে ধরণী
গাছের শুকনো পাতা ঝরে রাস্তায় ।
নামছে বৃষ্টি! দৌড়ে বাইরে আসি,
দাঁড়াই পথের ধারে এই অবেলায়;
কোথাও মানুষ নেই-পথঘাট ফাঁকা
অজানা আবেশে মন কোথায় হারায়?
ওগো তুমি কি আসবে এই সন্ধ্যায়?
ভিজবে আমার সাথে এই বৃষ্টিতে?
দুজনে হারিয়ে যাবো দূর অজানায়
হেসেখেলে, নেচেগেয়ে; হাত রেখে হাতে!
অঝোরে বৃষ্টি পড়ে আসমান চিরে,
একলা দাঁড়িয়ে থাকি পথের কিনারে!
২৭ চৈত্র ১৪২১ বঙ্গাব্দ
ময়মনসিংহ ।
ছবিঃ প্রথমটা গুগল থেকে, দ্বিতীয়টা নিজেরই তোলা; আর তৃতীয়টা ফেসবুক অথবা ব্লগ থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২