যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততম এলাকায় একঝাঁক সবুজের সমারোহ। ভেতরে ঢুকলেই বাইরের কোলাহল মুহূর্তেই মিলিয়ে যায়, মনে ভর করে অদ্ভুত এক অনাবিল প্রশান্তি। বোগেনভেলিয়ায় ঘেরা, সুনিবিড় সেই ক্যাম্পাসটি আমাদের, সকল নটরডেমিয়ানের। কুইজের জন্য ছুটতে ছুটতে সকালের ঘুমঘুম ভাব ত্যাগ, ফিজিক্স ল্যাবের গ্যাড়াকলে পড়ে ত্যানা হয়ে যাওয়া জীবন, কেমেস্ট্রী ল্যাবে এসি দাস স্যারের কটকটে ধমক, বায়োলজি ল্যাবে ভুঁইয়া স্যারের তিনপুরুষ ঝাঁকানো ঝাড়ি- সব ছাপিয়ে ক্লাস শেষে হুড়মুড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার আনন্দ। টেরেন্স স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যান্টিনে বসে আলুর চপে কামড় দেয়ার পাশাপাশি সিগারেটে দেয়া নতুন দুয়েক টান, ফাদার পিশোতোর বাচ্চাসুলভ আর কেয়ারিং ব্যবহার আর সর্বোপরি শান্ত ক্যাম্পাসের মন্ত্রমুগ্ধ হাতছানি।
এখানে আমরা এক হবো সবাই।
নতুনের ঝংকার মুষলধারে বেজে যাবে পুরনোর উষ্কানীতে। প্রিয় কলেজের মাঠে এক শামীয়ানার নীচে নাইবা হতে পারলাম একীভূত, নাইবা হলো আমাদের পুনর্মিলনী, নাইবা হলো এলামনাই। আমরা এখান থেকে আবার ফিরে যাবো ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে। একে অন্যের সান্নিধ্যে থেকে এখানেই হবে আমাদের পুনর্মিলনী, হাসি, ঠাট্টা, গুঞ্জন। এখান থেকেই আবার পুরনো তালে ভিখু খুঁজে তুলবো খুনসুটির টর্নেডো!
তুলনা হবে, স্মৃতিচারণ হবে আমাদের, সেদিন এবং আজকের নটরডেমের। নস্টালজিয়ায় ডুবে ভেসে আমরা সিক্ত হবো নতুন করে...
এখানে, এই ভার্চুয়াল শামিয়ানার তলে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৫৯