পাশে ইফতি অঘোরে ঘুমাচ্ছে। ফোনের আওয়াজ ওর ঘুমের রাজ্যে হানা দিতে পারেনি। নীতু বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালো। ইফতি কে ডাকতে গিয়েও থেমে গেলো। নাহ! অন্তত: আজকের দিনে ওকে ঘুমাতে দেয়া যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে ইফতি নীতু দুজনই নাস্তা শেষ করে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। ইফতির কাছ থেকে প্রত্যাশিত কোনো সাড়া শব্দ পেলোনা নীতু। ভাবলো, ইফতি কি ভুলে গিয়েছে আজকের দিনটির কথা!
অফিসে গিয়েই সাইটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো আবার। পেশায় নীতু একজন স্হপতি। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। একই পেশায় নিয়োজিত ইফতিও। সে অন্য আর একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ।
সারা দিনে আজ অনেক মেসেজ, ফোন রিসিভ করতে হলো তাকে। কিন্তু তার সবচাইতে প্রত্যাশিত উইশটি আসছেনা। নীতুর আবেগী মন অপেক্ষা করতে লাগলো একটা বাড়াবাড়ি রকমের সারপ্রাইজের জন্য। একই কারণে দুপুরের খাবারটাও খেলো একটু দেরী করে।
অবশেষে সারাদিন খেটেখুটে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলো। আজ একটু তাড়াতাড়িই ফিরলো। হাত মুখ ধুয়ে বারান্দার দোলনাটায় বসলো নীতু। ইফতি এখনো ফেরেনি। নীতুর চোখে তন্দ্রা ভাব চলে এলো।
নীতু অনূভব করলো তার পিছন থেকে কেউ একজন তাকে স্পর্শ করলো। বুঝতে পারলো ইফতি ফিরেছে। ইফতি নীতুর চোখ দুটি বন্ধ করে ধরলো।
নিয়ে এলো শোয়ার ঘরে। ড্রেসিং টেবিলের উপরে ছোট্ট সুন্দর একটা বাক্স, তার ভিতরে অসম্ভব সুন্দর একটা লকেট দেয়া চেইন। ইফতি তার গলায় পরিয়ে দিয়ে বল্ল, কিভাবে ভাবলে এই দিনটার কথা আমি ভুলে যাবো। যেদিন তোমাকে আমি আমার করে পেলাম। আবেগে নীতুর চোখ ভিজে গেলো।
হঠাৎ ডোর বেল এর আওয়াজে নীতুর তন্দ্রা ভাবটা চলে গেলো। বুঝতে পারলো সে স্বপ্ন দেখছিলো। নীতু উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলো। ইফতি ফিরেছে। সে ঘড়ি দেখলো। রাত ৯।০০ টা বাজে। নীতু টেবিলে রাতের খাবার সাজাতে চলে গেলো। অপেক্ষা করতে লাগলো পরবর্তী বছরের.....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:০৮