গোরুর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করলে এরা খুব দ্রুত একটি এন্টিবডি তৈরি করে ফেলে যা এইচআইভির আক্রমণ প্রতিহত করে।
মানবশরীরে এইচআইভি খুবই পিচ্ছিল এবং কুখ্যাত প্রতিপক্ষ। এটি এত দ্রুত বিবর্তিত হয়ে যায় যে যখনই রোগীর শরীরে এটি প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা তৈরি হতে যায় তখনই এটি এর গঠন বদলে ফেলে। তবে রোগীদের একাংশ আক্রান্ত হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে কার্যকর এন্টিবডি তৈরি করতে পারে, যা একটি বিস্তৃত রকমের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। ফলে বিবর্তিত রূপের ভাইরাসও এই এন্টিবডির মাধ্যমে অকার্যকর করা যায়। গোরুর শরীরে প্রয়োজনীয় এন্টিবডিগুলো মাত্র কয়েক সপ্তায় তৈরি হয়ে যায়। মানুষের শরীরে এই এন্টিবডিগুলো তৈরি হয় তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, গোরুর শরীরের এন্টিবডি ৪২ দিনের মধ্যে ২০% এইচআইভি স্ট্রেইনকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আর ৩৮১ দিনের মধ্যে ৯৬ শতাংশ ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা এবার গোরু নিয়ে গবেষণা শুরু করতে চাচ্ছেন, কীভাবে গোরুর কাছ থেকে জ্ঞান নিয়ে এইচআইভির টিকা তৈরি করা যায়। ধারণা করা হচ্ছে গোরুর ‘জাবরকাটা’ বৈশিষ্ট্যের পরিপাকতন্ত্রের হজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বন্য এবং বিরূপ ব্যাক্টেরিয়া। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এদের অতি-কার্যকর রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
ইহুদি-নাসারা, ইদানীং হিন্দুরা গোরু নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছেন। আমরা গোরু না ধরে দেখতে পারি বাঙ্গালিদের মধ্যে যাদের জাবরকাটা লোক, মানে পান খাওয়ার স্বভাব আছে তাদের শরীরে গোরুর মত এন্টিবডি তৈরি হয় কি না। হয়ত এই সুযোগে আমরা বড় কিছু আবিষ্কার করেও ফেলতে পারি!
তথ্য ও ছবিঃ নেট থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৭