বড্ড খারাপ শোনা যাচ্ছে তাই না আব্বা? হ্যা, এসবই পড়ে আসছি বিগত চারটা বছর।
সমাজবিজ্ঞানের এক শিক্ষার্থীকে তার স্কুল মাস্টার বাবা জিজ্ঞেস করলেন তোমার বিভাগে কি পড়ানো হয়?
সেক্স, সেক্স, সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট, সেক্সুয়াল এবিউজ, ছে.........................................................ক্স
সমাজবিজ্ঞানীরা অন্ধ হয় জানতাম, তবে গাধা হয় এটা জানতাম না
ক্লাসের শ'দেড়েক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে স্যার লেকচার দিচ্ছেন-
“আপনার বাচ্চাকে কারো কোলে দিবেননা। কারো কাছে ছেড়ে দিয়ে আসবেন না। কারো বলতে বিশেষ করে তার চাচা, মামা, দাদা, নানা, প্রাপ্তবয়স্ক চাচাত, মামাত, খালাত ভাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আত্মীয়ের বাইরে তো প্রশ্নই আসেনা।
-কেন স্যার?
-কারণ ওরা হলো আত্মীয়ের বেশে ধর্ষক, ছদ্মবেশী, সুযোগ পেলেই আপনার বাচ্চাকে মেরে ফেলবে বলাৎকার করে।
-বলাৎকার কেন করবে?
-কারণ মানুষ খুব খারাপ হয়ে গেছে,
-স্যার আপনার শুনলাম আপনার ও নাতনী হয়েছে আপনি কি তাকে কোলে নিবেন?”
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
ক্লাসের একজন আরেকজনের ব্যাপারে ভাবছে “পাশেরজন নিশ্চয়ই ধর্ষক,
কল্পনায় আঁকছে- আমার বাবা, ভাই, শ্বশুর, দেবর, সবাই নিশ্চয়ই ধর্ষকই হবে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
ছাদহীন ঘরের মানুষকে গরম থেকে বাঁচতে ছাদ না বানিয়ে ঘরে এসি লাগানোর বুদ্ধি দেয় এসব ভদ্রবেশী শয়তানেরা। একটা শিশুর সব থেকে কাছের আত্মীয়স্বজন যাদের কাছ থেকে সে আদর, স্নেহ, ভালবাসা নিয়ে সামাজিকভাবে বেড়ে উঠবে সেখানে এরা মাথায় কি ঢুকাচ্ছে?
আপনি তাদের ওয়াজ করুন যারা এসব সেক্সুয়াল এব্যুজের সাথে যুক্ত। মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ, দিনের পর দিন বিকৃত চিন্তা, বিকৃত যৌনজীবন যাপন (ও আপনাদের কাছে তো বিকৃত বলে কিছু নেই), মাদকরুপী ফিল্ম দর্শন আর বিকৃতচিন্তার ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে সে মনুষ্যরুপী পশু বনে যাচ্ছে। বরং এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট, কারণ পশুরা শিশুদের হ্যারাস করেনা।
আপনারা বিকৃত যৌনজীবনকে সার্টিফাই করবেন, এটাই নাকি ন্যাচারাল;
মা আবার কি? সেতো একজন নারী। বোন ও একজন নারী। মা, বোন, স্ত্রী এসব শব্দে আখ্যায়িত করেছে ধর্ম। আর ধর্ম তো ধান্ধাবাজি। অতএব পৃথিবীতে নারী আর পুরুষ ছাড়া সৃষ্টিগতভাবে অন্য কোনো পরিচয় নেই।
আদমের ছেলেরা নাকি তাদের মা'কে ভাগাভাগি করতে গিয়ে একজন আরেকজনকে মেরে ফেলে। যদি তা-ই হয় তাহলে মানুষ মানুষকে ভোগ্য বস্তু বলেই জানবে। গরুর মাংস খাওয়া, আর বাছুরের মাংস খাওয়ার মধ্যে যেমন অপরাধবোধ কাজ করেনা, তেমনি সেক্ষেত্রেও তাই। অতএব নারী আর শিশুর মধ্যে তফাৎ নেই সে-তো আপনিই বললেন।
শয়তানের সূত্রহীন কথাবার্তা। প্রশ্ন করলেই মার্ক হয়ে যাবেন, হয়তো ফেল করাবে, নয়ত ডাব্বা খাওয়াবে। ফেল করাতে করাতে ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে আপনার। এসবই উদারমনা, মুক্তমনা শয়তানের সৎকর্ম।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪