'শোন বিগত প্রণয়ী প্রতিটি বর্ষণক্লান্ত সম্ভাব্য ভোরে,
জীবন্ত চিতায় চন্দনের সুবাসে জন্ম-যন্ত্রণারা আমার
দিলে অসহনীয় চিৎকার!
শুকনো পাতার মতো টুপটাপে ঝরে গেলে মেঘদল,
কক্ষ্যচ্যুতি হলে কিছু কিছু এতিম গ্রহের,
পুনরায় হবে কি আমার?
এই রাজপথে অন্ধগলিতে পুড়ে যেতে যেতে হবে তো আবার মিলন?'
-এইসব চিন্তাগুচ্ছ আজকাল অকারণে করে নিপীড়ন,
আমি কাকতাড়ুয়া এক, দিচ্ছি তরমুজ ক্ষেতের পাহারা,
তীব্র রোদে পুড়ে যায় বুকের শীতল জল,
শুধু বেঁচে থাকে আদিগন্ত হৃদয়ের শুকনো সাহারা!
সেখানে নীলের বুকে হীরকদ্যুতি তারা ঝলমল,
আমাদের নিউরন আধো জাগরণে প্রেমে ও আগুনে
হয়ে যায় বিকল,
মানুষ কি সত্যিই নিতে পারে মানুষীর প্রেমের ধকল?
তবু আজন্ম তৃষ্ণা যদি পাই খুঁজে রুপন্তিকা তোমার চোখে
মায়ায় মত্থিত জল!
অনামিকা স্পর্শ করে ভালো হয়ে যেতে পারে দুরারোগ্য অসুখ,
চোখে দিয়ো সিন্ধু তীরের কাজল!
এই সব স্বপ্নের কথা কান পেতে শুনে জিরাফেরা হাসে,
অগণ্য উৎসুক মুখ লেপ্টে আছে দালানে ও চলন্ত বাসে,
ভাবে- কেন আমি মেতেছি এক নিষ্ঠুর সার্কাসে!
কখনো ধীরেই হাঁটি, কখনো প্রাণপণে দৌড়াই মাইল খানেক,
ছায়ার মতো পাশে দাঁড়িয়ে গোঙায় মঞ্চের চরিত্র বিবেক,
নিরর্থক পোষা পশুর মতো!
আজকাল হইনা অবাক,
পুড়ে যেয়ে ভীড়ের ঘর্ষণে, মিশে যাই,
দ্রবীভুত হয়ে যাই দ্রবণে,
সালফারে মিশ্রিত ধোঁয়ায়, পাইপের গাঁড় কার্বনে,
সূর্য্য মরার আগে বর্জ্য পুকুরে মিশে থাকে শুধু ছাই,
মানুষের স্বপ্নেরা মরে গেলে থেমে যায় আত্মার স্ফূরণ,
থাকে শুধু জীবন নামের অনর্থক হইচই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯