অন্ধকারকে নিয়ে অনেক বেশি নাড়াচাড়া করি বলে,
আলো কি পালিয়ে গেলো?
যাদুর প্রদীপ ঘষা দিলে দৈত্য আসেনা আর,
সেও মানুষের মতো ভাড়া খাটে মজুরীর বিনিময়ে!
দানবেরা গিয়েছে অজ্ঞাতবাসে শেষ মাঘ মাসে,
তাদের মুখোশ পড়ে আংগিনায় নাচছে মানুষেরা এসে,
কি করে বুঝব আজ মানুষ বন্ধু হয় আরেক মানুষের?
কয়েক যুগ পার হয়ে গেছে শেষ মহাযুদ্ধের,
ম্যানিফেস্টোর দাম্ভিক শব্দরা বলেছিল সেদিন-
'মৃত্যু মানে অমরত্বের সোপান'
কি সুতীব্র মিথ্যা শতাব্দী ব্যাপী করে যাচ্ছি পান,
এখন বিষক্রিয়ার সময়,
দমবন্ধ হয়ে এলে দেখি সভ্যতায় প্রতিষেধকের অভাব,
যেমন স্রেফ শখের বসে এয়ারগানে প্রেমিক পাখিকে মারা
মানুষের জিনগত স্বভাব!
ধ্বসে পড়ে বাবেলের টাওয়ার, আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর,
ক্যারিবীয় উপকূলে অকারণে আসে মহা ঘূর্ণিঝড়,
মানুষেরা বুঝি এভাবেই মরে যায়?
সেগুনের বনে, পলাশের লাল ছোপে, সাভানার ছায়ায়,
দার্জিলিং এ শীতল মলে, সমাধিস্থ গুহার কোণায়,
দানবের ছদ্মবেশে মানুষের মরণ
সাঁঝবাতি নিভে যাওয়ার মতো প্রত্যাশিত অঘটন,
সুনামির মতো ধাক্কা দেয় আমাদের অবচেতনের পর্দায়!
তবু মাঝে মাঝে উড়ে গেলে তুলোয় বোনা সাদা বকপাখি,
কচি লতাটা অজান্তে দুলে উঠে কিশোরীর মতো,
দুই একটা শিশিরের ফোঁটা গড়িয়ে পড়লে অনাদৃত ছত্রাকের উপর,
আজো কিছু যাযাবর ঘাসফড়িঙের সবুজ ছিটা দেখে
ভাবে ফিরে যাবে ঘর,
অথচ মানুষের কখনো কোথায় ছিলনা কোন ঘর!
ছিলনা তাদের নিজস্ব কোন কাকডাকা ভোর,
আমিও মানুষের মতো প্রতিনিয়ত পলায়নরত,
আমিও দ্রুতগামী যুদ্ধবিমানের মতো পলায়নরত,
পিছনে ফুঁপিয়ে কাঁদছে এক আক্রান্ত নগর!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯