তোমাকে লুকিয়ে দেখি,
যেভাবে চাঁদ এর আলো শরীরে মেখে নেয়
বৈদ্যুতিক তারে ঝুলন্ত নাগরিক পাখি!
মিশে যায় আলো ও অতীত,
বুঝি না পৃথিবীর বুকে কি চলে এখন
গ্রীষ্মের দাবানল নাকি তীব্র তুষারের শীত!
তুমি মধ্যরাতে শহরের বুকে ধেয়ে আসা সাইক্লোন,
আমি পিলারের আড়ালে কাঠবিড়ালীর ভীতু বন্য মন,
চুপিসারে আলো খুঁজি বেলায় অবেলায়,
তুমি মিশে থাকো ঘুমন্ত নগরীর ক্রুদ্ধ ছায়ায়!
তবুও তোমাকে দেখি,
সমুদ্র যখন ঢুকেছিল লোকালয়ে,
সুনামি নিয়েছিলে আশ্রয় তোমার আঁচলের বলয়ে,
তুমি জলের গহীনে এক জ্বলন্ত গোলাপ,
পুড়ে যেতে যেতে ছড়াচ্ছ হৃদয়ের উত্তাপ!
আমি সেই মৃত নদী,
ময়ুরকন্ঠী মেঘের জন্য যে আজন্ম করবে বিলাপ!
তুমি প্রবালের দ্বীপে অর্কিডের আরতি,
দূরতম জেনেও বিষন্ন নাবিক হয়ে স্বেচ্ছায় আসি
মানচিত্রের বাহিরে নিতে দীর্ঘতম বিরতি!
তুমি জলেতে মেশা অগ্নিগর্ভা জোনাকির দল,
বুনো বাতাসের সাথে জমাও আলাপ!
আমি লোহিত সাগরে সমাহিত মধ্যযুগের রণতরী,
মৃত তবু বুকের ভিতর নিয়ে লোনা কোলাহল
তোমার সন্ধানে অতন্দ্র প্রহরী!
তোমাকেই দেখি মধ্য রাত্রিতে,
শেষ মেট্রোর আলো শংখচূড় সাপের মতো
এঁকেবেঁকে চলে গেলে বহুদূরে,
প্রাচীন উদ্যানের সন্ন্যাসিনী বৃক্ষদের ভিড়ে!
যেখানেই থাকো তুমি বৃত্তাকার পৃথিবীর পরিধিতে,
তীরভাংগা ঢেউ জেনো ছুটবে মোহনায়,
তোমার অস্তিত্বকে আলোগোছে ছুঁয়ে দিতে
রৌপ্য মূদ্রার মতো তীব্র জোছনায়!
তোমাকেই লুকিয়ে খুঁজি,
শুনেছি ভিসুভিয়াসের পাদদেশে আনমনে তুমি
বসে থাকো রাতে রোজই,
আমার আগুনে বড় ভয়,
অথচ বুকের খাঁচায় সযত্নে আগুনের পাখি পুষি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০২