ফেসবুকে এক আবাল লিখেছে " নিউ ইয়ার পালন করা বেশরীয়তি কাজ। কারন এটা খৃস্টান বিধর্মীরা পালন করে!
এটা পালন করলে নাকি মুসলমানিত্ব খারিজ হয়ে যাবে, কাফের ও মুরতাদ হয়ে যাবে !
আরো লিখেছে, সেই ব্যক্তির স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে!
হজ্ব করা থাকলে বাতিল হয়ে যাবে!
ওয়ারিশ সত্ব বাতিল হয়ে যাবে!
মারা গেলে মুসলমানদের মতন জানাজা, দাফন করা যাবে না !
সর্বশেষ লিখেছে , নিউইয়ার বা নববর্ষ পালনকারীকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে!
এই আবালের মতন কতিপয় নাদান মুর্খ এইসব মনগড়া তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করছে। ধর্ম না জেনে, না পড়ে মনগড়া ফতোয়া দিচ্ছে।চুতিয়া সব শালাদের জুতাপেটা করা উচিত।
নিউইয়ার যদি খৃস্টানদের হয়, বিধর্মীদের উৎসব হয়, তাহলে অসুস্থ হলে এই বিধর্মীদের আবিষ্কৃত মেডিসিন খান কেন ? তাদের কনসেপ্টে প্রতিস্টিত হাসপাতালে চিকিতসা নিতে যান কেন?
হজ্ব করতে যেতে পাসপোর্ট, ভিসার জন্য ছবি প্রয়োজন পড়ে। যে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়, তা আবিস্কার করেছেন একজন খৃস্টানধর্মানুসারী। তার ক্যামেরায় ছবি তুললে আপনাদের মুসলমানিত্ব খারিজ হয় না?
যে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন,ইন্টারনেট ব্যবহার করছে সেটাও ভিন্নধর্মাবলম্বীদেরই আবিস্কার।তা ব্যবহার করলে নিশ্চয় মুসলমানিত্ব আরো পোক্ত হয় নাকি?
কয়েক লক্ষ উদাহরন দেয়া যাবে । যা সরাসরি বিধর্মীদের আবিস্কার, জীবনের সাচ্ছন্দ্যের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য সাচ্চা মুসলিমদেরও ব্যবহার করতে হয় । তখন কারো ধর্ম যায় না , তখন সব জায়েজ হয়ে যায়?
হায় কি সেলুকাস ! কি বিচিত্র তাদের ফতোয়া !
এ মনগড়া আজেবাজে তথ্য দেয়া বিভ্রান্তকারী, চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন।
৩১.১২.২০১৮
মন্ট্রিয়েল