তেলাপকার দল জীবন বিসর্জন দিয়েই মুক্ত; আজ রাতে খাবার হবেনা-
তেলাপোকা খেতে পারার মাঝে কোন বিশেষত্ব নেই !
দশ টাকা দামের সিগারেটের ধোঁয়া যা ছিল তাই আছে ;
কিন্তু ক্ষুধা ! আমাদের দিন যায় রাত নামে ; চাঁদেরা ঘুমুতে যায়-
পালিয়ে যায়- আমাদের পালানো হয়না ।
শুভঙ্কর- সেই পুরনো চরিত্র। মাঝে মাঝে কটাক্ষ করে; বলে-
কি লিখিস ! কবিতা না ছাই ;
আমি বলি- ছাই; কবিতা এত সোজা যে আমি লিখব ।
যা লিখি - ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল ।
আসলেই তাই !
কি লাভ নিজের অমর সাহিত্যের বাজনা বাজিয়ে !
আজ রাতের খাবার নেই এটাই সত্য- কিন্তু সিগারেট আছে !
সত্যিই বলছি নিকোটিনে আর পোষায় না ; গাঁজা আমি খাই না তাওতো মিথ্যে নয়-
ঘুম আসেনা তাই ঘুমের বড়ি খাই- তবু ঘুমেরা জ্যোৎস্না খোঁজে !
আমি আকাশ হয়ে সেই কবে বসে আছি;
আর তুমি মেঘ । উড়ে চলে যাবে আমার মোটেই অজানা ছিল না ।
আমি নদী হয়ে আগের ঠিকানায়; তুমি জল হয়ে সমুদ্রেরে ঘরে !
তোমাদের ঘরের এত আসবাব আমার মাঝে মাঝে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে হয় !
তবে কখনোই ছুঁয়ে দেখতে নয় !
আমার স্টেশন কাব্য যতই দীর্ঘ হোক-
তুমি ক্ষণিক সময় হুইসেল বাজানো ট্রেন !
দীর্ঘ সময় ত্রিচক্র যানে আমরা কোন একদিন পাশাপাশি ছিলাম;
আমার হাত শক্ত করে সেদিন যদি না ধরতে-
আমি কখনোই সাহসি পুরুষ হয়ে তোমার গালে চুমু এঁকে দিতাম না- আমি জানি ।
অবলীলায় সেই চুমুর রেখা তুমি মুছে নিয়েছ !
আমি জানার চেষ্টা করিনি- কিন্তু জানি !
এর নাম নর-নারীর ভালোবাসা !
শুভঙ্কর কবিতার কিছুই বুঝে না- আমিও না !
আজ হয়তঃ সে বুঝবে - কেন গৃহত্যাগী পুরুষ পাখি জ্যোৎস্না খেয়ে বেড়ায় !
রাত পাখি হয়ে আকাশের তারারা যখন মাঝে মাঝে উড়ে বেড়ায়
আমিও কেন মিশে যাই তাদের মাঝে !
নিজেকেই মাঝে মাঝে খুঁজে পাইনি; পাইনা - অবশ্য পাওয়ার চেষ্টাও করিনা !
ঘাসের কাব্যময় শরীরে লুকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছি;
আমার করিডরে অন্ধকারে লুকিয়েছি-
ভোর দেখা ভুলে গেছি !
সময়ের মানচিত্রের পথ ধরে হেঁটে চলেছি ;
থমকে দাঁড়িয়েছি মাঝে মাঝে তোমাদের জানালায়-
তর্কের আনন্দ লুকিয়ে রেখেছি আমার বুক পকেটে !
৫ সেপ্টেম্বর '১৪