একটা নীল অন্ধকারে ডুবে থাকা আমার সাথে
রাতভর কথা হয় তোমার ।
আমি টের পাই তোমার অস্তিত্ব আমার নিভৃত আত্মার ভেতর ।
আমার বৃষ্টি মুখর সন্ধ্যা
অথবা একাকি জ্যোৎস্না বিলাস রাত্রি গভিরে ।
তুমি কি জান !
হয়তঃ জান ।
আমি জানি সেই প্রথম দেখা তোমার চোখে কোন কাজল ছিল না,
কিছু কিছু চোখ আজন্ম কাজল মাখা ।
ছিল এক সমুদ্র কথা।
দুরন্ত ডুবুরী ক্লান্ত হওয়া গভিরতা ;
এত ঢেউ !
আমি আজও ভাল সাঁতার জানিনা ;
কে বলবে তোমাকে সেই কথা !
তোমার কণ্ঠে বেজে উঠল রবীন্দ্রনাথ !
রবীন্দ্রনাথ ভিন্ন আমার কোন দেবতা নেই-
পূর্বজন্মে তোমার আমার দেখা হয়েছিল কিনা আমি জানি না।
সেই হাসি !
আমারই আঁকা ; আমার তুলি, আমার ক্যানভাস !
খুব দ্রুত আমি যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম ;
বিলীন হয়ে যাচ্ছিলাম -
কোন এক অলীক অজানা গন্তব্যে ।
একটি মুহূর্তের জন্য আমি নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করলাম ;
আমার সকল অনুভূতি দিয়ে -
যেন দীর্ঘ বছর মাটির অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা কোন প্রাণে
প্রথম আলো স্পন্দন ।
আমি কি সত্যিই কোন ঘোর স্বপ্নে তলিয়ে গিয়েছিলাম !
বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেও কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না ।
শুধু জানলাম -
এতকাল যে বৃষ্টির প্রতিক্ষায় বসে থাকা
আজ সে বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দিল ।
এখন আকাশ জুড়ে মেঘ;
বৃষ্টিহীন মেঘ !
আমার শৈশবের চাঁদটা যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে ,
চাঁদের বুড়িটার বয়সও যেন আর বাড়ে না !
শুধু জেলেদের মাছ ধরার মাচাটা যেন আরও জরাজীর্ণ হয়েছে ।
এবং আমার আকাশ জুড়ে মেঘ জমে;
শুধু বৃষ্টি হয় না।
বৃষ্টিহীন মেঘ ।