ভৈরবী সুরে বাঁধা বৃষ্টি প্লাবনে সিক্ত
এ হৃদয় এক গহীন অরণ্য ;
নিরবিচ্ছিন্ন শিরশির কম্পনে কেটে যায় সারাবেলা ।
মেঘ মেখেছে এখানে আপন রঙ
এখানে সঞ্চিত আবেগি সুধা- কান্না-
গভীর মমতায় ক্ষরিত রক্ত
পুজার অর্ঘ্য ।
রাতভর ঝরে পড়া
রূপবতী শিউলি-
নিরবে চুম খায় চরণ ;
শুধু ছুঁয়ে যায়না দেবী হৃদয় ।
জেগে থাকে রজনী;
জেগে থাকে জ্যোৎস্না- ঘাসহৃদয়-
এখানে মাতাল কান্না বাঁশরি
আকাশ কাঁপায়।
অতিকায় কোন্ এক শকুন নিভৃত করে ক্ষুধা-
হৃদপিণ্ড জলে !
প্রতি রাতে পূজারীর আর্তনাদ
শূন্যে ভাসে শ্রবণোত্তর তরঙ্গে;
কোথায় যেন ছটফট করছে
একদল বাদুড় হৃদয় –
ভুলোপথ নাবিক নোঙর করে
কাটিয়ে দেয় সারারাত ;
ভোরের প্রতীক্ষায় লাল আগুন চোখেরা
গলে গলে বাড়িয়ে চলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা !
পোড়া ফুসফুসে তবু ধোঁয়ার বসতি
তবু ছিড়ে যাওয়া তার বেহালা খুঁজে ফেরে সুর-
অদ্ভুত জল-বাহন; স্রোত-
ঘুরপাক হৃদয়।
মাতাল হাস্নাহেনা ঘ্রান-
কুয়াশাঘুম চাতক-চোখ;
দীর্ঘ কৃষ্ণ রাত্রির শরীরে আকণ্ঠ অবগাহন;
অন্ধকারের জলে কখনও ভেসে যায় সময়-
অথবা জীবন ।
কে জানে হয়ত কেটে যাবে এই ধুসর যুগ
প্রশন্ন প্রসশ্ত আকাশ হবে দেবী;
দেবী হৃদয় !!