প্রিয়তমা, তুমি ভুল বুঝো না আমায়
প্রেমের গোপন অভিবাদন সত্যিই আমি জানি না
জানি না-
হেমলক মুখে ঢেলে কিভাবে করে সত্য উচ্চারণ।
বলতে পারি না তোমার কোমল চোখের দিকে তাকিয়ে
আমি দিশেহারা নাবিক-উদ্ধার করো আমায়,
উদ্ধার করো!
প্রিয়তমা, তুমি ভুল বুঝো না আমায়
অন্তরঙ্গ পদভ্রমণ ক্লান্ত করে আমায়
কেননা সময়ের সুগভীর চক্রান্ত
আমি বুঝে উঠতে পারিনি আজও
পেশাদার কোনো প্রেমিকের মতো
আঁকতে পারিনি নিজ হাতে তোমার
নিঁখুত শরীরজুড়ে প্রেমের বিদীর্ণ মানচিত্র।
প্রিয়তমা, ভুল বুঝো না আমায়
সমগ্র পৃথিবীজুড়ে আমি পাইনি খুঁজে
তোমার জন্য মানানসই কোনো উপমা
বরং সমস্ত সৌন্দর্যের গহীন তাৎপর্য
তোমার মাঝে আবিষ্কার করে চমকে উঠেছি আমি।
শুষে নিতে পারিনি তোমার শরীর থেকে
বিকিরিত সেই সৌন্দর্যের তীব্র বেদনা-
একে তুমি ঘৃণা ভেবে ভুল বুঝো না, প্রিয়তমা।
প্রিয়তমা, আমি পারবো না তোমার বুকে কান পেতে
শুনতে হৃদয়ের গভীর যন্ত্রনার বিষন্ন ধ্বনি
আমি পারবো না তোমার অধরের স্বর্গীয় স্পর্শে
মৃতদের ভাষায় অনন্তকাল কথা বলতে
আমি পারবো না তোমার প্রতিটি রোমকূপে
প্রেমের অমৃতবাণী পৌঁছে দিতে
নির্বাচিত পূর্ণিমার উদ্ভাসিত আলোয়
পারবো না তোমার শিয়রের পাশে বসে
তীব্র সৌন্দর্যের মুখোমুখি হতে।
আমার ভয় হয়-প্রচণ্ড ভয় হয় নিজেকে
কেননা ভ্রাম্যমান এ শরীরে বইছে সুপ্রাচীন রক্ত
ক্ষণে ক্ষণে জেগে ওঠে সেখানে কুখ্যাত চরিত্রগুলো:
ওরা সৌন্দর্যের দ্যুতি সহ্য করতে পারে না
ওরা মানবিক মৃত্যু মেনে নিতে জানে না
ওরা নিবিড় চাঁদকে গিলে খেতে চায়
ওরা তোমাকে হত্যা করতে চায়
ওরা তোমার রক্তে পুণ্যস্নান করতে চায়।
এরচেয়ে বরং আমি তোমার থেকে দূরে থাকি
মৃতদের সাথে নি:শব্দে প্রেম করি
মৃতদের নি:স্তব্ধ সৌন্দর্য অবলোকন করি
কারারুদ্ধ কুখ্যাত সত্তাগুলোর
মৃত্যুদণ্ড নিজ হাতে সম্পন্ন করি-
একে তুমি অাত্মহত্যা ভেবে ভুল বুঝো না
প্রিয়তমা, ভুল বুঝো না।