প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার অগোছালো লেখার জন্য। সেই সাথে সবাইকে অনুরোধ করছি আমাকে যেন কোন দলীয় ব্লগার আক্ষা দেওয়া নয়।
আমরা কোন আজব দেশের রাজনীতির স্বীকার হচ্ছি? আমি/আমরা, তুমি/তোমরা, আপনি/আপনারা অদৃশ্য বন্দী হয়েই জীবন পার করতে হবে? আসলেইতো আমরা একটা কারাগারে আছি, তাই না? সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আর আমাদের মধ্যে (সাধারন জনগনের) পার্থক্য হলো- কয়েদিরা ছোট একটি প্রাচিরে আবদ্ধ আর আমরা বৃহত একটি প্রাচিরে আবদ্ধ। কয়েদিরা চলেন জেলার সাহেবের তত্তাবধানে আর আমরা চলি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তত্তাবধানে। আজ সরকার বলছে আমি যেইভাবে বলব সকল দলকে সেই ভাবেই মানতে হবে। বিরোধী দলের আপত্তি, ডাক দেয় হরতাল কিংবা অবরোধ হুজুরদের হুকুম আমাদের বাধ্য হয়ে মানতেই হয়। ভোগান্তি ভারে জনগনের ২০ টাকা সবজি ৪০ টাকা তাছাড়া কর্মস্থলে পৌছতে ব্যয় হওয়ার কথা ১২ টাকা সেইখানে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা। আমরা তার পরেও এই রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে শুরু করি অফিস, চায়ের দোকান, পাড়া/মহল্লায় কথা কাটাকাটি কিং হাতাহাতি অথবা একজন আরেকজনকে জগন্যভাষায় গালাগাল। বিনিময়ে নিজেদের লোকসান ছাড়া কিছুই আসছে না। আমরা কোথায় দিয়ে দাড়াব একটিবারের জন্য বলতে পারেন কেউ? কি লাভ তাদের জন্য (নেতাদের) মারপিট করে? আমাকে/আপনাকে কর্ম/শ্রম দিয়েই খেতে হবে, জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। মাঝ খানথেকে শুধু রাজনৈতিক নেতার পকেট ভারি করে দিচ্ছি আমরা সাধারন জনগন।
আমরা কোন রাজনৈতিক প্রতি হিংসার শিকার হতে চাইনা। চাইনা সেই প্রভাব আমাদের সন্তানদের উপরও প্রভাব বিস্তার করুন। আমরা শুধু চাই শান্তি, শৃংখলা আর নিরাপত্তা।
দয়া করে করে আমাদের একটু নিরাপত্তা দিন- বাসায়, রাস্তায়, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।