মদন পতঙ্গ
কেউ যদি! আহা! যদি কেউ কোনদিন!
শিখায় ঝাঁপের আগে তার মনে কি!
ভোরের কাগজওয়ালা থেমে যেত পথেই
খসে যেত পুব আকাশের জ্বলা তারা
হন্তদন্ত অফিসের কেরানীও
বাস ভুলে গিয়ে অবনত অবিমূঢ়
কখনোই কেউ, যদি কখনোই কেউ!
দোকানের ঝাপ উঠতোনা দোকানির
গৃহিণী সকাল বেলায় রান্নাঘরে
জ্বলা চুলো খালি হাড়িতে থাকত স্তব্ধ
ফুটপাথে বসে পসরা জমানো লোক
বেচাকেনা ভুলে হত পাথরের মত
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হত ঠিকই
খেলার মাঠে কিংবা চায়ের টঙে
ম্রিয়মাণ থেকে যেত সব ছেলেবুড়ো
ঘরের ছাদে, ব্যলকনিটার কোনে
কেউ হাসত না এলোচুলে মুঠোফোনে
শহরে ও গ্রামে আলো জ্বলতনা রাতে
লেখকেরা লেখা শিল্পিরা আঁকা ভুলে
মাথা নিচু করে অশ্রু ঝরাত শুধু
কেউ একবারও! যদি কেউ একবারও!
আগ্নিগাহন আহুতির আকুলতা!
কেউ কোনদিন! কত প্রেম কত গ্লানি!
কেউ জানবে না! আমি জানি আমি জানি!
আকাঙ্ক্ষা নেই অবকাশও নেই ক্ষমার!
আজো এই বুকে প্রোথিত শেকড় তোমার!!!