আমাদের চিরকুমার সভার সবচেয়ে সক্রিয় সদস্য ছিলো নাদিম।।
বিয়েশাদী দুই চোখে দেখতে পারতো না। আমরা ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে গেলে নাক যেভাবে কুঁচকাই, পরিচিত কারো বিয়ে হচ্ছে শুনলে নাদিম ঠিক তেমন মুখ করতো।
ফিজিক্সের নতুন কোনও আবিষ্কার নিয়ে চায়ের কাপে ঝড়-তুফান হচ্ছে? ও মুহূর্তেই ফু দিয়ে ঝড় ঠাণ্ডা করে বলতো, বিয়ে-শাদী দুনিয়াতে না থাকলে আরো আগেই কেউ না কেউ বের করে ফেলতো এটা। আইনস্টাইনের কথাই ধরেন, আধা হালি বিয়ে না করে শুধু ভায়োলিন নিয়ে থাকলে লোকটা আরো কত কি করতে পারতো। সামান্য আপেক্ষিকতা বের করতে এতদিন লাগতো না। যত্তসব।
আলেক্সান্ডারের কথা বলবেন? ঐ ব্যাটা তো ছিলো বাঘের বাচ্চা। অথচ সে কিনা একত্রিশ বছর বয়সে বিয়ে করে তার পরের বছরেই মারা গেলো। কারণ বুঝতেই পারছেন, তার তলোয়ার চালানোর কথা যুদ্ধের ময়দানে, ফুলের বিছানায় না। প্রকৃতি কি আর এইসব সহ্য করবে?
তারপর আরো আছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম ডিভোর্স হয় কোথায় জানেন নাকি? গ্রীসে। কিন্তু তা হলে কি হবে, ওদের দেশে আবার এবরশনের পরিমাণও কিন্তু সবচেয়ে বেশি। বলি, বেহুদা মেয়েগুলোকে ধরে এমন কাঁটাছেড়ার কি দরকার? বিয়েটা কমিয়ে ফেললেই হলো। আর ছেলেগুলোকেই বা দোষ দিয়ে কি হবে? একই ছাদের নিচে থাকতে গেলে একটু এদিক সেদিক তো হবেই। তার উপর জিউসের বংশধর। বোঝেনই তো।
এইসব হাজারো স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে আমাদের চিরকুমার সভার আড্ডা জমিয়ে রাখতো নাদিম।
আর আজ...
আমাদের সেই নাদিমের জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্লজ্জের মত সে-ও আজকাল বাপ-মায়ের সাথে মেয়ে দেখে বেড়াচ্ছে সমানে। হাসতে হাসতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে, মিষ্টির বিনিময়ে সুদে আসলে পোলাও কোর্মা খেয়ে ফিরে আসছে। ফিরে আসার হাসিটা অবশ্যই অপেক্ষাকৃত চওড়া।
কারণ নানান রকমের ফিল্টার, ছাঁকুনি আর জেরার পর কোনও মেয়েই এখন পর্যন্ত ইয়েস কার্ড পায় নি। এবং তাতে বরং ক্ষতির চেয়ে লাভই বেশি। দুইদিন পর নাদিমের মা আবারো নিশ্চয়ই কোনও এক ননদের ফুপাতো বোনের বান্ধবীর ভাইয়ের আপন চাচাতো সুন্দরী শালীর সন্ধান পেয়ে নতুন উদ্যমে বের হবেন দলবল সাথে করে।
স্বাভাবিকভাবে একটা মেয়ের দিকে যতক্ষণ তাকানো ভদ্রতা বলে ধরে নেয়া হয়, কনে দেখার এই মজলিসে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকাও পরিপূর্ণ জায়েজ। চিরকুমার সভার তৎকালীন প্রেসিডেন্টের জন্য এইতো অনেক বড় ব্যাপার। অথচ আমাদের সাথে কি ভণ্ডামিটাই না করতো এতদিন হারামখোরটা।
আর ইয়ে, প্রাক্তন সভাসদ হিসেবে বন্ধুর সাথে আমাকেও যেতে হচ্ছে অবশ্য। এত বড় একটা সিদ্ধান্ত বন্ধুকে তো আর একা নিতে দেয়া যায় না।
কিন্তু সত্যি বলতে কি, অন্যের দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমি নিজেই বা চিরকুমার থাকতে পারলাম কই? তবে বিশ্বাস করেন, আমার দোষ ছিলো না একদম। শুধু মাত্র বাপমায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়েটা করতে হয়েছে আমাকে। একমাত্র ছেলে আমি, আর এই সবই আমার জননী এবং পিতৃদেবের চক্রান্ত। পড়াশুনা সংক্রান্ত অনেক কথার অবাধ্য হলেও, আমাদের বংশের মুখের দিকে তাকিয়ে এই কথাটার অবাধ্য হতে পারলাম না। উফ, কি যে এক নিরূপায় পরিস্থিতির শিকার আমি।
ফলাফল?
আগে আমার সুডৌল ভুড়িসমৃদ্ধ যেই পেট ছিলো নাদিম কিংবা পিয়ালের জীবনের প্রথম ড্রামসেট, সেখানে এখন মনের সুখে ড্রাম বাজায় আমার খানদানি বংশের আমদানীকৃত উত্তরাধিকারী। এমনকি ড্রাম বাজানো শেষ করে মনের সুখে ওটাকেই বালিশ বানিয়ে ঘুমায়, তারপর বেশিরভাগ সময়েই নিম্নগামী তরলে বিছানা ভাসে, আর মুখনিঃসৃত তরলে ভাসতে থাকে আমার উপবৃত্তাকার চামড়ার ড্রামসেট।
ও আচ্ছা, পিয়ালের কথা তো বলা হলো না। নাদিমের বিয়েটা হয়ে গেলে চিরকুমার সভার একমাত্র জীবিত সদস্য বাকি থাকবে সে। যদিও আমাদের মধ্যে সবচেয়ে দলছুট ছিল পিয়াল। টং এর দোকানের বদলে হুটহাট ওকে কফিশপে দেখা যেত। একেকটা কফির মূল্যমানের সমানুপাতিক অসংখ্য চায়ের কাপের মর্ম ও বুঝতো কিনা জানিনা, তবে ফিমেইল সাইকোলজিতে আমাদের সবার থেকে ওর জ্ঞান বেশি ছিলো, এটা সত্যি। ততদিনে ওর সাইকোলজিকাল বিদ্যা এনাটমি পর্যন্ত যায় নাই বলেই জানতাম। কিন্তু একদিন প্রকাশ্য দিবালোকে আমি আর নাদিম যা দেখলাম তাতে ঘোর সন্দেহ হতে লাগলো আমাদেরই।
- মামা, পিয়াল তো বর্ডার ক্রস করেফেলেছে অনেক আগেই। মেয়ে এখনও গুলি করে না কেন?
- হ্যাঁ রে, তাই তো দেখছি। বন্দুক তাহলে মনে হয় পিয়ালের কব্জায় এখন।
- পিস্তল-বন্দুক ছেলেদের কব্জাতেই থাকে রে গাধা। শুধু কন্ট্রোলটা নিতে হয়, বুঝলি?
- থাক বাদ দে, কিন্তু ও মেয়েটার হাত ধরে বসে আছে কেন?
- বলদ কোথাকার, পড়িস নাই গল্পে,‘সর্বাঙ্গে বিদ্যুৎ শিহরণ’ টাইপ কি একটা জানি হয় এমন করলে।
আমরা দূর থেকে দেখছিলাম। চিরকুমার সভার জন্য নিষিদ্ধ প্রজাতির এক প্রাণীর হাই ভোল্টেজের শকে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে ইলেক্ট্রিকাল পড়ুয়া তুখোড় ছাত্র পিয়াল।।
জরুরি ভিত্তিতে মিটিং বসলো সভার অবশিষ্ট সদস্যদের নিয়ে, দুই সদস্যের সেই মিটিং শেষে পিয়ালকে সাবধান করে দেয়া হলো। পরেরবার এমন হলে সোজা বহিষ্কারাদেশ জারি হবে।
কিন্তু এরপরও বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন জনের সাথে দেখা যেত পিয়ালকে। আর কখনও ‘বিশেষ বিবেচনা’, নাহলে ‘বিশেষ অনুরোধ’ অথবা ‘শেষ সুযোগ’ হিসেবে প্রতিবারই পার পেয়ে যেত আমাদের প্রিয় বন্ধু।
আর... এইসব আদেশে নেতৃত্ব দেয়া শুরু করার তিনমাস পরই আমি বিয়ে করে ফেললাম।।
যাইহোক, আমাদের এই গল্পে পিয়ালের প্রসঙ্গ সামনেই আসবে। এর-ওর মুখ থেকে শুনছি ও কানাডা চলে যাচ্ছে স্কলারশিপ নিয়ে। অথচ একবারও জানায় নাই আমাদের। শালার কত বড় সাহস!!
আর ছেলেটা কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে আজকাল। অনেকদিন দেখাও হয় না অবশ্য। গিয়ে জায়গামত দুই চারটা থাপ্পড় বসালে যদি ঠিক হয়।
যাই হোক, সুপ্রিয় পাঠক, আমরা আপাতত আবার নাদিমের কনেদেখা উৎসবে ফিরে যাচ্ছি।
মেয়ে খুঁজে পাওয়ার অনাবশ্যিক বিলম্ব নাদিমের মা-বাবার কপালে যতই চিন্তার ভাঁজ ফেলছে, আমার ঢেউ খেলানো ভুঁড়িতে ততই যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন খাঁজ।
তবে আজকে লক্ষণ কেমন অন্যরকম। সরল মাইক্রোস্কোপ পার হয়ে নাদিমের মায়ের জটিল মাইক্রোস্কোপও পার হয়ে গেছে মেয়েটা। আটকানো যাচ্ছে না, আমরা এদিকে ভয়ে ভয়ে বসে আছি।
‘একটু হেঁটে দেখাও তো দেখি মা’ টাইপের পরীক্ষাও যেকোন মুহূর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে।
এই পর্যন্ত যতজন মেয়ে দেখা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রস্থ-জনিত হিসাবে সবচেয়ে কমের মধ্যে মনে হয় এই মেয়েটাই। তবে হ্যাঁ, আমাদের হাড্ডিসার নাদিমের সাথে একে ভালোই মানিয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আর কাঠিতে কাঠিতে মিলে এক বছর পর কেমন প্রোডাক্ট তৈরি হয় সেটাই দেখার ইচ্ছা আমার।।
দুইদিন পরের কথা।
আমার বান্দর বাচ্চাটার ডায়াপার চেঞ্জ করার গুরুদায়িত্ব আমার উপর পড়েছে। প্রায় দশ মিনিট সংগ্রাম করে সফল হওয়ার পর যখন ভুলটা বুঝতে পারলাম, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে; আর ওদিকে আমার বৌ-ও হাজির। প্রায় একই রকম দুইটা প্যাকেটের মধ্যে হিসাবে বিরাট গোলমাল করে ফেলেছি। লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। এদিকে উচ্চ-কম্পাঙ্কের চিৎকার শুরু হয়ে গেছে। আর ঠিক তখুনি টিং টং বাজলো।
অর্ফিয়াসের বাঁশীর সূরে ঘাতক-মৎস্যকুমারীদের থেকে যেভাবে একদল নাবিক বেঁচে যায়, ঐ কলিং বেলও আমার পুত্র-জননীর আগ্রাসন থেকে তেমনি আমাকে বাঁচালো। আহা, কলিং বেল এত মধু কেন?
তড়িঘড়ি করে উঠলাম আমি দরজা খুলতে, আর আমার ঘরণী উঠলেন তার পুত্রের সম্ভ্রম বাঁচাতে।
নাদিম এসেছে।
চোখমুখ যেভাবে কুঁচকিয়ে রেখেছে, ওর কান পর্যন্ত ম্যাডামের ঝাল পৌঁছে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে তা নিয়ে নাদিম কিছু বললো না এ যাত্রায়। হতাশ ভঙ্গিতে ডানে বায়ে মাথা নাড়তে নাড়তে শুধু জিজ্ঞেস করলো, তোর ট্রাউজারে এইটা কি হলুদের দাগ না অন্য কিছু?
বের হলাম নাদিমের সাথে।
আকাশ এরই মধ্যে গর্জন করা শুরু করেছে, অথচ আধা ঘণ্টা আগেও কি বিশ্রী রকমের রোদ ছিলো।
যাইহোক, হুট করে পিয়ালের বাসায় গিয়ে ওকে হাতেনাতে ধরার প্ল্যানটা নাদিমেরই করা। সেগুনবাগিচায় একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকে পিয়াল। বাসাটা আসলে ওরই এক মামার। তিনি নিজে বিপত্নীক, আর পাশের এই ছোট ফ্ল্যাটটাও খালি পড়ে ছিলো। পিয়ালের মা-বাবা থাকে গাজীপুর। তাই ঢাকায় পিয়ালের জন্য এটাই বরাদ্দ করে দেন মামা। নিরিবিলি বাসা, তাই আমাদের চিরকুমার সভার বেশিরভাগ আড্ডাও এখানেই হতো।
ভীষণ ফূর্তিবাজ ছেলে পিয়াল।
আর তাই ওকে নিয়েই ভয়ে ছিলাম আমরা, কোনদিন সভা ভেঙে যায় ওর জন্য। তবে জীবনে নারীর প্রাচুর্য থাকার পরও কোনও মেয়ে গিট্টু দিয়ে আটকাতে পারেনি ওকে। মাঝখান দিয়ে আমরাই ভেগে গেলাম।
তবে জিনিস একটা ছিল পিয়াল। সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরে, টিউশনি করে, রাতে বাসায় এসে মুখের মধ্যে একটা সিগারেট নিয়ে বই উল্টাতো কিছুক্ষণ, আর নিয়মিতই কোপাকুপি ধরণের পরীক্ষা দিয়ে নাম্বারের বাম্পার ফলন করতো।
ওর বাসায় চলে এসেছি। বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কা দেয়ার পর ও দরজা খুললো।
আমাদের দেখে কেমন যেন ভিজে বিড়ালের মত চুপসে গেলো আজকে পিয়াল। চোখের নিচে কালি পড়ে আছে। আমার এতক্ষণে ওর পিঠের মধ্যে কিল বসানোর কথা, কি মনে করে দিলাম না।
নাদিম বললো, “এমন ম্যান্দা মেরে পড়ে আছিস কেন? কি হইলো তোর বল তো?”
“কিছু না, একগাদা ঝামেলায় আটকে আছি। তোরা নাকি মহা উৎসবে সংসার ধর্ম পালন করে বেড়াচ্ছিস?” বলে শুকনো করে হাসলো পিয়াল।
একটু আমতা আমতা শুরু করলাম আমি, নাদিম রক্ষা করলো;
“আমাদের কাহিনী পরে, লাত্থি বসানোর আগে তোর খবর বল। তোর এই অবস্থা কেন? আর কানাডা ফানাডা কই নাকি যাবি, বলিস নাই কেন?”
“ধুর, যাওয়ার প্ল্যান ছিলো, এখন বাদ।”
“স্কলারশিপ বাদ দিয়ে দিলি? মাথা খারাপ তোর?”
“স্কলারশীপ না ঠিক, ওদের একটা ভার্সিটির ফেলোশীপ অফার...”
শয়তানি করছে বলে তো মনে হলো না। এরকম একটা চান্সের জন্য আমরা যে কেউ জীবন দিয়ে দিতে পারবো, আর ও ছেড়ে দিলো? হতবাক হয়ে গেলাম।
নাদিম এবার সত্যি সত্যি লাত্থি দেয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে। আমি থামালাম-
“দোস্ত একটু খাই আগে, পরে ফাইট হবে। ঐ রুম থেকে শিককাবাবের গন্ধ আসে”
“রাখ তোর খাওয়া...”
আমার নাক বেয়ে শিককাবাবের আগুন ততক্ষণে পেট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাই পিয়ালের পশ্চাতে শিককাবাবের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ-সংক্রান্ত নাদিমের সতর্কবাণীটা আমার কান অবধি গেলো না।
বরং নাদিমকে শুদ্ধ টেনে পাশের বেডরুমে নিতে গেলাম। এবার পিয়াল লাফ দিয়ে উঠলো।
“ঐ রুমে না গেলে হয় না?”
কাতর অনুনয় করলো পিয়াল কেন জানি।
কিন্তু ওর অদ্ভুত আচরণে রাগ লাগছিলো আমারও। তাই কিছু না বলে জোর করেই ঢুকলাম বেডরুমে। কি আর হবে, নতুন কোনও জিনিয়াস ধরণের পাগলামি হয়তো, যন্ত্রপাতি খুলে একাকার করে ঘর বোঝাই করে রেখেছে নিশ্চয়ই।
অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে। আমাকে আর নাদিমকে ঢুকতে দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠলো। আমি বের হয়ে আসলাম প্রায় সাথে সাথেই। মেয়েটাকে যে বেঁধে রাখা হয়েছে এটা বুঝতে একটু সময় লাগলো শুধু।
আমার পিছনে নাদিমও বের হয়ে আসলো, পিয়ালের মুখের দিকে তাকালাম। মাথা নিচু করে আছে ছেলেটা।
আমি আর নাদিম কিছু বলার আগেই মুখ খুললো ও।
“আমার কথা তোরা কেউ আর বিশ্বাস করবি না, তাইনা?”
“মনে হয় না। তুই করতি আমাদের জায়গায় হলে?”
“কি জানি, আচ্ছা দোস্ত, বাইরে বৃষ্টি হবে মনে হয়, চল, ভিজে আসি . . . ”
(জয়ন্তিকা গল্পের প্রথম পর্ব এখানেই শেষ। পরের পর্ব )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬