নির্মলজীবন হুগলির ধামসিন এর বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পিতার নাম যামিনীজীবন ঘোষ। মেদিনীপুর কলেজের আই.এ. ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি গোপন বিপ্লবী বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগ দেন। মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে নিধন করার ব্যাপারে জড়িত ছিলেন। এই ষড়যন্ত্র ও হত্যার অভিযোগে বিচারে তাঁর প্রাণদণ্ড হয়। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনি ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।
বার্জ হত্যাকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তাঁরা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯১৬
হুগলি , ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ২৬ অক্টোবর, ১৯৩৪
জাতিসত্তা বাঙালি
আন্দোলন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন। নির্মলজীবন সম্পর্কে উইকিপিডিয়া রামকৃষ্ণ_রায় সম্পর্কে উইকিপিডিয়া
স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বীর বিপ্লবী শহীদ রামকৃষ্ণ রায় ( জন্মঃ- ৯ জানুয়ারি, ১৯১২ - মৃত্যুঃ- ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৪)(সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী)
গোপন বিপ্লবী দল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য ছিলেন রামকৃষ্ণ রায়। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে নিধন করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন। ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসিতে শহীদ হন।
রামকৃষ্ণ রায়ের জন্ম মেদিনীপুরের চিরিমাতসাইতে। তাঁর পিতার নাম কেনারাম রায়।
বার্জ হত্যাকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তাঁরা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
আমার আগের লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩০