আপনিও পারবেন !
আপনিও পারবেন, স্বাস্থ্য দিন - ১-১০ ও খাদ্যভাস পরিবর্তন-১ ও কিছু ভ্রান্তি-১
আপনিও পারবেন, স্বাস্থ্য দিন - ১১ খাদ্যভাস পরিবর্তন-২ ও কিছু ভ্রান্তি-২
১৫.০৫.১২
আজকে টানা দৌড় ২০ মিনিট ৯.০-৯.৩ গতি, ষ্টাইগুং ৩.০ । এখন দৌড়ালেও গা লাগে না । তবে ষ্টাইগুং এ হালকা কষ্ট এখনও হয় । তবে ব্যাপার না এটা ।
এরপর হিজিবিজি সাহেব এর পরামর্শ মোতাবেক পেটের ব্যায়াম করি তবে বেশীক্ষণ করতে পারি নাই, স্বল্পবসনা এক নারী দাড়িয়ে রইল কথা ব্যতীত । আমি বুঝিলাম তাহার স্লিম আকৃতিতে ৬ পেক সৃষ্টি করিতে চাহেন । তাই আসন ১০ মিনিট পড়েই ছেড়ে দিলাম ।
এরপর কাধের ও হাতের ব্যায়াম করলাম তবে বুকের ব্যায়ামটা করি নাই বেশীক্ষণ ।
আজকে বাহিরে খাব তাই ভোরে আপেল, আনারস, বাঙ্গী, আঙুর এর টুকরা তথা ২০০ গ্রাম ভক্ষণ করেছি । সকালে, দুপুরে খাই নাই । পানি আর জুস পান করেই কাম সারা রাতের দিকে একজনের সাথে মিটিং আছে, সেখানে রেস্টুরেন্টে আহার করতে পারি, জাঙ্ক ফুড হইবে হয়ত । তাই এত ডায়েট । আর আমি মিটিংটা না খেয়ে অভদ্রতা করতে চাই না । ভাবিবেন না মিটিংটা নারীর সাথে , বরং নর , একটা কাজের ব্যাপারে ।
আর আজকে প্রোটেইন শেইক কিনে নিয়ে আসলাম ব্যায়ামবীরদের দোকান থেকে । সবচেয়ে দামী নয় তবে তা কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রোটেইন পাউডার এটি WheY ....... অপটিমাম নিউট্রেশন ব্রান্ড এর ।
দামের জন্য না, বরং শরীরের জন্য ভাল জিনিসটা কেনা কারণ ইতিমধ্যে আমার এক কলিগ ডাক্তার এর কাছে দোড়াদৌড়ি করেছে ভুল ও অতিরিক্ত প্রোটেইন এর কারনে । আমি শরীরের জন্য সর্বোচ্চ যোগ্য খাদ্যটি নিশ্চিত করতে চাই । এটি ভ্যানিলা আইসক্রীম স্বাদের ।
প্রোটেইন নিতে হবে ওজন ও শ্রমের উপর ভিত্তি করে । কারও ওজন যদি ৫০ কিলো হয় প্রোটেইন নিবে ৫০*০.৮গ্রাম অথবা৫০*১বা ৫০ গ্রাম অনুযায়ী ।
আর ১ প্রোটেইন = ৪ ক্যালোরী শক্তি বহন করে ।
অতিরিক্ত প্রোটেইন পাকস্থলী বা লিভার বা কিডনীতে ক্ষতি করতে পারে । তবে ব্যায়াম বেশী করলে প্রোটেইন বেশী নেওয়া যায় । নির্ভর করে কে কতটুকু ব্যায়াম করে তবে একজন স্বাস্থ্যসম্মত ৪০-৫০ গ্রাম সবারই দরকার পরে ।
তবে দুধ - ডিম, মুরগীর বেস্ট, সয়া মিল্ক তথা প্রোটেইন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে এর প্রয়োজন নাই ।
তবে প্রোটেইন শেইক এ আরও অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে ।
এতে চর্বি বা কার্বস খুব অল্প পরিমানে থাকে ।
প্রোটেইন শর্করার মত শক্তি নয় তবে সহকারী বলা চলে । শরীর প্রথমে কার্বস বা কার্বোহাইড্রেডকে টার্গেট করে বার্ন করার জন্য । এরপর প্রয়োজনে জমায়িত প্রোটেইন ব্যবহার করে শক্তি হিসেবে । কিন্তু পেশী তার উপাদান কার্বোহাইড্রেড নয় বরং প্রোটেইন থেকে নেয় । তাই শরীরে এর প্রয়োজনীয় সর্বদা উপস্থিত থাকতে হয় । একারনেই ওয়েট লিফটাররা ঘন ঘন আহার করেন স্বল্প পরিমানে ২-৩ ঘন্টা পর পরই ।
এতে প্রোটেইন প্রচুর পরিমানে বিদ্যমান ।
তবে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য যারা হালকা কসরতে ব্যস্ত থাকেন তারা সাধারণ নিয়মিত প্রোটেইন আহার করতে পারেন ।
সকালে, দুপুরে ডিম ও রাতে দুধ । ব্যাস ।
তবে আমি এগুলি আহার করি না কারণ ফ্যাট । যা আমার শরীরে প্রচুর আছে । আরেকটু স্ব্যাস্থ্য হোক আমিও নিয়ম শেইক বাদি দিয়ে ডিম ও দুধ আহার করব ।
আর প্রোটেইন পাউডার বা শেইক কিনার আগে, বাজার যাচাই আর পণ্যের কোয়ালিটি যাচাই আর কি কি নিউট্রেশন আছে তাও যাই করে নিতে হবে । অরিরিক্ত চিনি ও ফ্যান ও কার্বোহাইড্রেড যুক্ত প্রোটেইন পাউডার বা শেইক আহার করা উচিত নয় ।
সুস্বাস্থ্য কামনা করি ।
ফটুক
এটা বিশ্রামাগার তথা চেঞ্জিংরুম
এটাকে টেনে শক্তির অপচয়
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১২ রাত ১২:০৮