গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার শুদ্ধতা প্রসঙ্গে একটি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের প্রত্যক্ষ ভাষ্য আমার পড়া হয় নাই। কিন্তু গণমাধ্যমের বরাতে এই ভাষ্যের অংশভাক জানা গেছে। এই পরোক্ষ-সূত্রে পাওয়া টুকরো-টাকরা জবানি পড়তে গিয়েই দুটো পুরনো সওয়াল আবার করে মাথায় আসলো। এই লেখার মধ্যে সেই দুটো প্রশ্ন নিয়ে কিছু কথা পেড়ে রাখার চেষ্টা করছি।
২.
একটু খেয়াল দিলেই চোখে পড়বে, আমাদের বাংলা ভাষার ধারণাটি নানারকম বচন ও বয়ানে ‘সমৃদ্ধ’; নানা কবি ও ভাষ্যকারের বয়ানে বাংলা ভাষার একটা ‘প্রতিমা’ দাঁড়িয়ে গেছে। এই সৃজনের ইতিহাস নিশ্চয়ই শুরু হবে মধ্যযুগ থেকে। এই জমানার সবচেয়ে খ্যাতিমান ভাষ্যকার আবদুল হাকিম। তাঁর বহুশ্রুত কাব্য ‘বঙ্গবাণী’র মধ্যে তিনি রায় দিচ্ছেন:
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
বাংলা ভাষার ডিসকোর্সের যে দিকটার প্রতি আমি এখানটায় মনোযোগ দেব বলে ঠিক করেছি তার সঙ্গে আবদুল হাকিমের যোগাযোগ কিছুটা পরোক্ষ। তিনি বঙ্গবাণীর ‘সার্বভৌমত্ব’ জাহির করতে গিয়ে যে রেটোরিক্স প্রয়োগ করছেন সেটাই আপাতত আমার লক্ষ্য। হাকিমের বক্তব্য হচ্ছে: বঙ্গে জন্ম নিয়েও যে-হতভাগা বঙ্গবাণীর প্রেমে পড়ে নাই তার জন্ম নিয়ে ঘোর সংশয় আছে।
এই বিখ্যাত সংশয়ের সঙ্গে সকলেই কম-বেশি পরিচিত। এর শাদামাটা অর্থ হলো, তার বাপের ঠিক নাই। কিন্তু ভেতরের ইঙ্গিতটা হলো অপরাধীর মায়ের চরিত্র: অর্থাৎ মায়ের ছিনালিপনা।
মধ্যযুগের এই ভাষা-অন্তপ্রাণ কবির ঘাড়ে বিশেষ কোনো দায় চাপানো আমার উদ্দেশ্য নয়। কেবল তাঁর রেটোরিক্সটুকু আমি নিচ্ছি। বঙ্গবাণী-হিংসুটের প্রতি কবি এখানে যে ধিক্কার বর্ষণ করছেন সেটার ফল অর্ষাতে হলে ব্যাটাগিরির জমিনে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক। মায়ের ব্যাভিচার যে সমাজে শরমিন্দার উৎস নয় সেখানে এই নিন্দা অর্থহীন। কবি সম্ভবত তাঁর লক্ষিত পাঠককে ব্যাটাগিরির জমিনেই অনুমান করছেন। ফলে, সবচেয়ে মোক্ষম নিন্দা হিসেবেই তিনি মায়ের ছিনালিকে ‘টার্গেট’ করছেন এখানে।
কবির এই ‘ইশারা’র সঙ্গে বাংলা ভাষার যে ‘প্রতিমা’ উত্তর-কালের শিল্পীরা গড়ে তুলেছেন তার একটা দুরান্বয়ী সম্পর্ক আছে। আসলে জাতীয়তাবাদী পরিসরে মাতৃভূমি যেভাবে গড়ে ওঠে সেই তরিকাতেই গড়ে উঠেছে ‘মাতৃভাষা’ বাংলার রূপগরিমা। এই কল্পনার কোল্জের মধ্যে আছে যে ভাবটি আছে সেটি হচ্ছে: বাংলা ভাষা আমাদের মা। এটা বাংলা ভাষা নিয়ে যে কোনো রচনারই মুখ্য ভাব: ভাষা হলো মা। এই মায়ের হালফিল কেমন? মা বরাবরই অরক্ষিত। এই মায়ের ভালনারিবিলিটির সঙ্গে একমাত্র তুলনা চলে মাতৃভূমির। মা অরক্ষিত বলেই এসব সৃজনকর্মের একটি উদ্দেশ্য হলো বীর সন্তানদের জাগিয়ে রাখা। এরা মাকে দুর্ভাবনা না করতে পরামর্শ দেবে, কারণ শত্রু এলে তারা অস্ত্র ধরতে জানে। আবার, শত্রু-পীড়িত মাতৃভূমিকে মুক্ত করতেও তারা সমানভাবে পারঙ্গম।
মাতৃভাষাও অরক্ষিত, তবে তাকে রক্ষা করার জন্যও লোক-লস্কর আছে। এই মা খুব সুখী ভদ্রমহিলা এমন ভাবাটাও ভুল হবে। বাংলা ভাষার নির্মিত প্রতিমাতে দেখা যাচ্ছে, এই মা দুঃখিনী। শামসুর রাহমান মায়ের এই চিরদুখী ইমেজ দেখে আফসোস করছেন: ‘তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো,/বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’। একই সুর আদালতের এই আদেশ প্রসঙ্গে লিখিত আনন্দবাজারের সম্পাদকীয়তেও শোনা যাচ্ছে, ‘অবিলম্বে সংস্কার আরম্ভ না হইলে দুঃখিনী বাংলা ভাষা আরও বিপন্ন হইবে’।
বাংলা ভাষা নামক ‘মাতৃভাষা’র আরেকটি গুণ হচ্ছে তার পবিত্রতা। এই মা পবিত্র। এক্ষেত্রেও আশংকাটি পুরাতন: অরক্ষিত মায়ের ‘পবিত্রতা’ মাটি হতে পারে। ‘ওরা’ (ওরা মানে সোজা কথায় ‘ভিলেন’, ‘অসুর’, ‘অপশক্তি’) মওকা পেলেই মাকে অপবিত্র করে ফেলতে পারে। কাজেই বাংলা মায়ের সন্তান অহোরাত্র মায়ের পবিত্রতার পাহারাদারি করবে।
৩.
১৬ ফেব্রুয়ারির আদেশে আদালত জানাচ্ছেন:
আমরা আদেশ জারি করছি এই মর্মে যে বাংলা ভাষার পবিত্রতা সর্বোচ্চভাবে রক্ষা করতে হবে। এই ভাষার প্রতি আর যেন কোনো আঘাত না আসে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। (প্রথম আলো)
বাঙালি শিল্পীরা নানা সৌন্দর্য ‘সঞ্চার’ করে বাংলা ভাষার যে চরম পুরুষালি প্রতিমা তৈয়ার করেছেন সেটা একদম অবিকৃতভাবে গ্রহণ করছেন আদালত। আদালতের কল্পলোকেও বাংলা ভাষা মাতৃরূপে বিরাজিত (যদিও স্পষ্ট করে বলা নেই), এবং এই মায়ের উল্লেখযোগ্য দিকের প্রশ্নে আপসহীন: এই মা পবিত্র, এই মা অরক্ষিত।
জাতীয়তাবাদী ডিসকোর্সে অরক্ষিত মায়ের সঙ্গে বাইনারি-অপোজিট ধারণা হিসাবে স্বভাবতই বীরপুঙ্গবের কথা আসবে। অরক্ষিত মা এবং রক্ষা-কবচ সন্তান। এই বীর সন্তানেরাই যুগে যুগে মায়ের পবিত্রতা রক্ষা করে আসছে। খেয়াল রাখা দরকার: লুণ্ঠনকারীর আগ্রাসনে যেমন মায়ের পবিত্রতা ভূলণ্ঠিত হয়, তেমনি মায়ের ছিনালিপনার দোষেও এমনটা ঘটতে পারে (আবদুল হাকিম স্মর্তব্য)। কিন্তু মরদ-সন্তান মায়ের এই বিপর্যয় ঘটতে দিতে পারে না। মায়ের পবিত্রতার প্রশ্নে সে আপসহীন, এমনকি এক্ষেত্রে মায়ের মন বুঝতেও সে আগ্রহী না।
এতকাল এই কঠিন কর্তব্য-ভার কেবল দেশ-দরদী যুব-সমাজের কাঁধে ন্যস্ত ছিল। কিন্তু আদালত এই আদেশের মাধ্যমে এই ভার বহনে নিজের গরজ প্রকাশ করলেন। এক্ষেত্রে আদালতের ঘোষণা দ্যর্থহীন: বাংলা ভাষার পবিত্রতা ‘সর্বোচ্চভাবে’ রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ মায়ের ‘ইজ্জত’ একতিল খোয়ানোরও আর উপায় নেই। মাকে পরম অর্থে ‘পবিত্র’ রাখতে হবে।
এই পবিত্রতা যে বিশেষ করে যৌন-শুদ্ধতারই ইঙ্গিত সেটা স্পষ্ট করে আদালত বলেন নাই। কিন্তু আকলমন্দ ব্যক্তির জন্য দরকারি ইশারা দিয়ে রেখেছেন। পরিষ্কার বাংলায় দেওয়া আদেশে আদালত ঘোষণা করছেন, ‘এই ভাষার ওপর আজ বলাৎকার চলছে’ (কালের কণ্ঠ)। ‘বলাৎকার’ শব্দের ওপর মনোযোগ দিতে অনুরোধ করছি। বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান-এ এই শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে: ‘ধর্ষণ; বলপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ।’
আদালত কী চোখে বাংলা ভাষাকে দেখেন?
পাঠককে আবারও ‘বলাৎকার’ শব্দের ওপর চোখ রাখতে অনুরোধ করি।
৪.
বাংলা ভাষা কী?
এই অত্যন্ত জরুরী সওয়ালেরও একটা ভাঙাচোরা উত্তর আদালতের আদেশে পাওয়া যাচ্ছে। আদালতের জবানিতেই সেটা শোনা যাক:
এই ভাষা বঙ্গবন্ধুর ভাষা, রবীন্দ্রনাথের ভাষা, শরৎচন্দ্রের ভাষা, জীবনানন্দের ভাষা, বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা, আলাওলের ভাষা, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষা, লালনের ভাষা, হাসন রাজার ভাষা, শাহ আবদুল করিমের ভাষা, জসীমউদ্দীনের ভাষা ও কায়কোবাদের ভাষা।
মোটামুটি লম্বা ফিরিস্তি। এবং আমার ধারণা বাংলা ভাষার সংজ্ঞা হিসাবেও এই ফিরিস্তি একেবারে ফেলনা নয়। এটুকু ধরতাই দিয়েই বাংলা ভাষার একটা সীমা দাগিয়ে নেয়া সম্ভব। আদালত বাংলা ভাষার যে পরিচয় দিলেন সেটার কয়েকটি দিকে আমরা নজর দিতে চাই:
প্রথমেই মনে আসছে বাংলা ভাষার মালিকানার সওয়াল। এই ভাষাটি কাদের ভাষা? সবার আগে, এই ভাষার মালিক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। যদিও এই দীর্ঘ তালিকায় তিনিই সবচেয়ে উটকো ব্যক্তি। তার কারণ, এই তালিকাটি একদম নির্জলাভাবেই একটি সাহিত্যিক তালিকা। এখানে বাংলা ভাষার মালিক হিসাবে যাদের নাম আসছে তাঁরা সকলেই সাহিত্যিক, একা বঙ্গবন্ধু বাদে।
এই তালিকার নামগুলোর মধ্যেই কয়েকটি দরকারি আলামত পেয়ে যাচ্ছি আমরা। ভেঙে ভেঙে আলোচনা করা যাক:
আদালত মনে করেন ভাষা একটা সাহিত্যিক ব্যপার। ফলে বাংলা ভাষার পরিচয় দিতে গিয়ে কেবল সাহিত্যিকদের কথাই মনে আসছে আদালতের। এই অন্তর্নিহিত অনুমানটাকে ধরতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আদালতের এই অনুমানের মধ্যেই লেখার ভাষা-মুখের ভাষা তর্কের জের আছে। আদালত ভাষা-বিকৃতি বলতে কী বোঝেন সেটা স্পষ্ট করে বলেন নাই, কিন্তু এই অনুমানের মধ্যে তার একটা আদল খুঁজে নেয়া সম্ভব। আদালত-স্বীকৃত সাহিত্যিকদের ‘লেখার ভাষা’র সঙ্গে যে মুখের ভাষা ও লেখার ভাষার মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না সেটাই হচ্ছে ভাষা-বিকৃতি। কারণ আদালত - সম্ভবত - মনে করেন, লেখার ভাষাই হলো প্রকৃত ভাষা, মুখের ভাষা এর ‘মাইমেসিস’ মাত্র, ফলে সত্য থেকে - প্লেটো অনুসারে বলা যায় - এক ধাপ দূরে।
কিন্তু এই তালিকায় সবার ওপরে বঙ্গবন্ধু কেন? এখানেই দ্বিতীয় আলামত নিহিত। আমরা এই পর্যায়ে অবগত হচ্ছি যে: রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো আদালতও হাওয়া বুঝতে এবং সেই অনুসারে কথা কইতে খুবই আগ্রহী এবং এব্যাপারে তাঁর ‘পারফরম্যান্স’ সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোনোভাবেই খারাপ না।
এখানে তৃতীয় যে আলামতের কথা আমরা বলতে যাচ্ছি সেটাই সবচেয়ে গুরুতর ব্যাপার। আদালতের চোখে এই অরক্ষিত বাংলা ভাষার প্রকৃত ধারক ও বাহক কারা? উত্তরটা আপাতভাবে বেশ সোজা ও স্পষ্ট; কেন, এখানে যাঁদের নাম করা হলো তাঁদের ভাষা। কিন্তু আপাত-নিরীহ ও ভালো-মানুষী গোছের এই বক্তব্যটিকে অত সরলভাবে নেওয়া চলছে না।
চলছে না কেন, তার উত্তর পেতে আমরা একটু আব্দুর রাজ্জাকের কথা শুনবো। তিনি খুবই ভিন্ন ধরনের একটা কথা বলছেন:
বাংলা ভাষাটা বাঁচায়া রাখছে চাষাভুষা, মুটেমজুর - এরা কথা কয় দেইখ্যাই ত কবি কবিতা লিখতে পারে। সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় কেউ কথা কয় না, হের লাইগ্যা অখন সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য লেখা অয় না।
কিন্তু আদালতের রায়ে ‘চাষাভুষা’, ‘মুটেমজুর’ এরা কোথায়? এরা নাই তো! এই ভাষা বঙ্গবন্ধুর, রবীন্দ্রনাথের, আলাওলের; কিন্তু এই ভাষা কি চাষাভুষার নয়?
বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়, আদালত যে বাংলা ভাষার কথা বলছেন সেটা একান্তভাবেই ভদ্দরলোকের ভাষা। এখানে চাষাভুষা কি আমজনতার কোনো স্বত্ব নাই।
বাংলা ভাষা যে একান্তভাবে ‘ভদ্দরলোকের’ ভাষা সেটা বোঝাতে আদালত মোটেই কসুর করেন নাই। আদালতের জবানিতে সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। আদালতের বক্তব্যে নজর দেওয়া যাক।
বাংলা ভাষার পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব পেলেন আনিসুজ্জামান। তিনি বাংলা একাডেমীর সভাপতি, এই দায়িত্ব তাঁকে দিলে দোষের কিছু নাই। কমিটিতে কে কে থাকবেন, কতজন থাকবেন সেটাও তিনি ঠিক করবেন। পবিত্রতা রক্ষার বিবেচনা পুরোটাই আনিসুজ্জামানের। আম-জনতার সেখানে তেমন করণীয় নাই। আদালত আনিসুজ্জামানকে পুরা দায়-ভার দিয়ে অবশ্য একদম নিশ্চিন্ত নন। তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েক জনের নাম প্রস্তাব করেছেন আদালত। এঁরা হচ্ছেন, সেলিনা হোসেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, নির্মলেন্দু গুণ, রফিক আজাদ ও সৈয়দ শামসুল হক।
এই প্রস্তাবনার মধ্যেও আদালতের বাংলা ভাষার প্রতিমাকে অনড়ভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। ভাষা যেহেতু সাহিত্যিক ব্যাপার তাই ভাষার বিকৃতি রোধের দায়-দায়িত্ব পুরোটাই সাহিত্যিকের ঘাড়ে বর্তাক - এটাই আদালতের বাসনা। কমিটিতে তাই অসাহিত্যিক কারো ডাক পড়ছে না। চাষাভুষাদের কথাও স্মরণ করছেন না কেউ।
কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মনে রাখলে এই বিচারে ‘সাধু সাধু’ রব তোলা কঠিন। আদালতের বয়ানে দেখছি, আম-জনতার এখানে তেমন করণীয় নাই; অথচ একুশে ফেব্রুয়ারি যাঁরা প্রাণ দিলেন তাঁরা সকলেই আমজনতা, সাহিত্যিক গংয়ের কোনো মহারথির নাম-ই শহীদদের তালিকায় নেই!
আদেশের পরের শুনানিতে বক্তব্য দেবার জন্য যাদের ডাকা হয়েছে সেই তালিকাতেও ‘সালাম’, ‘বরকত’ - এরকম আম-জনতা গোছের কেউ নাই। সেখানে আছেন আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, নামজাদা কবি ও অধ্যাপকরা। কিন্তু যেসব চাষাভুষা বাংলাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, যাঁরা কথা বলেন বলেই নাকি সাহিত্যিকরা অমর সাহিত্যকর্ম সৃজন করেন, তাঁদের কাউকে বক্তব্য দেবার জন্য ডাকা হয়নি।
আম-জনতার তবে করণীয় কী? বেঘোরে প্রাণ দেওয়া?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৮