‘সেই কাহিনির স্রষ্টাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করো যিনি ভূভারতীয় আছেময়তার জবান গ্রহণ করেছেন।’
তোমার দৃষ্টি কেন নমিত হবে না, অতোদূর কালোজল, মেঘে মেঘে শ্যাওলায় শালকাষ্ঠবিধৃত আলকাতরায় নোনাগন্ধী বিনতা বিকাল; মধূমতি বহিয়া চলে ওগো কোন গাঁও তোমার নিরিখ, গাঁওগঞ্জে জনপদে জোৎস্না হাদিনী হলে কবেকার পুরাতন বুড়ি ইসম শিা করে, তুমি সেই উঠান তালাশ করো, তুমি সেই রাত্রির গতরে নিজেকে লুপ্ত করো। নদী কি এখন নাই, বালুচরে বাদামের খেত, খোদার আরশ কি নাই? ভোরের পাখিরা এখনো নিদ্রিত, লাল ঝুঁটি অবনত, অতএব হে সাধক তুমি তত্ত্ব তালাশ করো।
তোমার দৃষ্টি কেন অবনত হবে না, ওগো চঞ্চুতাড়িত শকুন, বালিকার স্তনের বয়স তখনো সংযত, তুমিও সংযমী হও, তার সাথে খেলা করো; বিনয়ী বুকের উপর তার খোলা চুলে চণ্ডিকার ভোরে তুমি সমর্পিত হও, মাঠের নিলাভ শোকে তুমি তার ভজনা করো, তুমিও আবৃত্তি করো অশ্রুতপূর্ব প্রার্থনাধ্বনি, ওহে নির্বোধ তুমি আছড়ে পড়ে কাঁদো, হে প্রস্তরীভূত অগ্নি, জৈবিকতা শিক্ষা করো।
তোমার দৃষ্টি কেন কাতর হয়নি ওগো সৌভাগী নিথর মধ্যাহ্ন; তোমার বাধ্যগত চোখের মণিতে কেন বিদ্ধ হবে না পেরেকের প্রেম, কেন যৌবন তোমাকে কাঁদাবে না; হে পতঙ্গশিকারী, মাংসাশী হও, হে গ্রাম্য কাক, তুমি শহরের শৃঙ্খলা ভেঙে দাও।
তোমার দৃষ্টি কেন আগ্রাসী হবে না, ওগো দৃশ্যলোভী কাতর বেড়াল, বেড়াজাল ছিঁড়েখুঁড়ে বেড়ালের বসতি গড়ো; আছেময়তার ঘর তোলো, হে নাস্তিপ্রিয় তমসারোগী, আরোগ্য হও।
হে অলস বামন, তুমি দ্রষ্টা হও।