ছোট বোনটির জন্মদিনে
দেয়নি একটিও চকলেট,
শিশিরের বোনের জন্মদিনে
দিয়েছি ইয়া বড় কেক।
শয্যাশয়ী অসুস্থ মা আমার
বলেছেন নিতে ঔষধ,
দেখিয়েছি পকেট আমার ফাঁকা;
শিশিরের মায়ের সর্দি-কাশি
দেখতে গেলুম নিয়ে আপেল কমলা।
বাড়িতে বুড়ো বাবাটি
খুড়িয়ে চলে লাঠির উপর,
এক টাকা মাত্র খরচ করেও
জানতে চাইনি কোন খবর।
শত টাকার ডাটা খরচে
চেটিং এ কাটে আমার
নির্ঘুম রাত।
ভাইটি আমার!
টিউশন ফিতে চলে কোন রকম,
মাস শেষে তার টানাপোড়েন;
দেয়নি কখনো তার পকেট খরচ।
শিশিরের ভাইটি পড়ে স্কুলে
কত দিয়েছি তার টিফিন খরচ !
আমি চলতেম লোকাল বাসে
শিশিরকে দিতেম সিএনজি ভাড়া,
তার প্রয়োজনে ছিলেম দিন রাত
আমার ক্ষেত্রে ছিলো তার তাড়া।
বন্ধুদের সাথে করতেম নাস্তা
রাস্তার ধারে টং এ,
শিশিরের সাথে, এয়ারকন্ডিশনে
ঘেরা কোন রেষ্টুরেন্টে।
আজ শিশির নেই!
এ্যাকসিডেন্টে পা হারিয়েছি
দু মাস হলো।
রৌদ্রের খড় তাপের ন্যায়,
কষ্টের তাপে সেও হারিয়ে গেলো।
বোনটির ব্যাংকে জমানো পয়শা,
আঁচলের ভাঁজে লোকানো মায়ের টাকায়
চিকিৎসা চলছে আমার।
শুনলোম,
ঋণ নিয়েছে বাবা সুদে
ভাই নিয়েছে টিউশন ফি অগ্রীম।
বন্ধুরাতো আছেই পাশে-
কেউ দিয়েছে রক্ত
কেউ বা এনেছে ঔষধ পত্য।