somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টুঙ্গিপাড়ার সাধু পরমানন্দ রায় কী কারণে খুন হলেন!!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:
টুঙ্গিপাড়ায় সাধুকে কুপিয়ে খুন, ক্ষোভ!

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত সাধু পরমানন্দ রায়কে সমাহিত করা হয়েছে। রোববার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয়। এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরমানন্দ রায় দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। তিনি বাসুড়িয়া শ্রীশ্রী বাই রসরাজ আশ্রমের রসরাজ ঠাকুরের অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এ হত্যার অভিযোগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মান্নুর ছেলে শরিফুল শেখকে (২৫) শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো. মাহামুদুল হক বলেন, “এ ঘটনায় শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছেলেটির আচরণে মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।” তবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেননি।

নিহত পরমানন্দ রায়ের ছেলে দয়াল রায় বলেন, শুক্রবার বিকালে তার বাবা গিমাডাঙ্গা হাটে বাজার করতে যান। হাট থেকে ফেরার সময় গিমাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মানুর ছেলে শরিফুল শেখ ফার্নিচারের দোকান থেকে ধারালো বাটাল নিয়ে ধাওয়া দেয়। “প্রথমে তার হাতে ও পেটের নিচের অংশে কোপ দেয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে শরিফুল তার পিঠে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। অস্ত্রটি পেট দিয়ে বের হয়ে যায়।” দয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিক্ষেত্রের আধা কিলোমিটার দূরের গিমাডাঙ্গা বাজার থেকে ফেরার পথে আহত সাধুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান বলে জানান নিহতের ছেলে। তিনি বলেন, “আমার বাবা ধর্ম পালন করত বলে এলাকার সবাই তাকে সাধু হিসেবে চেনেন ও সম্মান করেন।” রাই রসরাজ ঠাকুরের অনুসারী তার বাবা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।

দৈনিক ইত্তেফাক: টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ ) সংবাদদাতা:
গোপালগঞ্জে সাধুকে কুপিয়ে হত্যা!
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাধু পরমানন্দ রায়ের (৭৫) মরদেহ শোকাহত পরিবেশে দাফন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়। এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা সহ প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাধু পরমানন্দ রায়ের নির্মম হত্যার বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধু পরমানন্দ রায় হত্যাকারী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মান্নুর ছেলে শরিফুল শেখকে (২৫) পুলিশ শনিবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত সাধু পরমানন্দ রায় টুঙ্গিপাড়ার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। তিনি বাসুড়িয়া শ্রীশ্রী বাই রসরাজ আশ্রমের রসরাজ ঠাকুরের অনুসারী ছিলেন। তিনি সেখানে সনতন ধর্মের তপস্যা করতেন।

পরমানন্দ রায়ের ছেলে দয়াল রায় বলেন, শনিবার বিকেলে বাবা গিঙ্গাডাঙ্গা হাটে বাজার করতে যায়। হাট থেকে ফেরার সময় গিঙ্গাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মানুর ছেলে শরিফুল শেখ ফার্নিচারের দোকান থেকে ধারালে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয়। প্রথমে তার হাতে ও পেটের নিচের অংশে কোপ দেয়। এক পর্যায়ে তিনি রাস্তার উপর পড়ে গেলে শরিফুল তার পিঠে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। অস্ত্রটি পেট দিয়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা সাধুকে উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা নিয়ে যায়। খুলনা থেকে রাতে তাকে ঢাকা নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। আমার বাবা ধর্ম আচরন করতেন। এ কারনে এলাকায় সবাই তাকে সাধু হিসেবে চেনেন ও সম্মান করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। রাই রসরাজ ঠাকুরের অনুসারি। আমরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো. মাহামুদুল হক বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুলকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ছেলেটির আচরণে মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেন নি।

প্রথম আলো: ফরিদপুর অফিস:
গোপালগঞ্জে ছুরিকাঘাতে হিন্দু সাধু নিহত!
ছুরিকাঘাতে আহত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পরমানন্দ রায় (৭০) নামের এক হিন্দু সাধু গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় আজ রোববার তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত ব্যক্তির ছেলে। ওই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত পরমানন্দ রায়ের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার দক্ষিণ বাসুরিয়া গ্রামে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের ভাষ্য, পরমানন্দ গত শুক্রবার বিকেলে পাশের গ্রাম গিমাডাঙ্গা হাটে বাজার করতে যান। বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গিমাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া মল্লিকের সেতুর কাছে একই গ্রামের শরিফুল শেখ (২৫) নামের এক তরুণ তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। ডান হাত ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তাঁর পিঠে ছুরিটি ঢুকিয়ে দিয়ে ওই তরুণ পালিয়ে যান। এলাকাবাসী পরমানন্দকে উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাঁকে শুক্রবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে প্রফুল্ল রায় বাদী হয়ে আজ সকালে শরিফুল শেখকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শরিফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করছেন টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার নাথ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল শেখের সঙ্গে উগ্রপন্থী কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা!
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মানসিক ভারসম্যহীন এক যুবকের কোপে গুরুতর আহত পরন রায় বিশ্বাস (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামের মৃত মহিন রায় বিশ্বাসের ছেলে।

টুঙ্গিপাড়া থানার এস.আই মো. হাফিজ ভূইয়া জানান, পরন রায় বিশ্বাস শনিবার বিকেলে গিঙ্গাডাঙ্গা এলাকায় আসেন। এসময় তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গিঙ্গাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মানুর মানসিক ভারসম্যহীন ছেলে শরিফুল শেখ ধারালো বাটাল নিয়ে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তিনি রাস্তার উপর পড়ে গেলে শরিফুল তার পিঠে বাটাল ঢুকিয়ে দেয়। এসময় বাটাল তার পেট দিয়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা পরনকে উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া ভর্তি করে। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনায় মেডিক্যালে পাঠানো হয়। খুলনা থেকে রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শরিফুল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

সাধু পরমানন্দ রায় হত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ!!
উপরের কয়েকটি সংবাদ থেকে যে বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে তা হলো:
১. সাধু পরমানন্দ রায় টুঙ্গিপাড়ার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। তিনি বাসুড়িয়া শ্রীশ্রী বাই রসরাজ আশ্রমের রসরাজ ঠাকুরের অনুসারী ছিলেন। তিনি সেখানে সনতন ধর্মের তপস্যা করতেন। তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭৫ থেকে ৮০ বছর।

২. সাধু পরমানন্দ রায় গত শুক্রবার বিকেলে পাশের গ্রাম গিমাডাঙ্গা হাটে বাজার করতে যান। বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গিমাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া মল্লিকের সেতুর কাছে একই গ্রামের শরিফুল শেখ (২৫) নামের এক তরুণ তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। ডান হাত ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তাঁর পিঠে ছুরিটি ঢুকিয়ে দিয়ে ওই তরুণ পালিয়ে যান।

৩. আক্রমণকারী শরিফুল শেখ গিমাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ মানুর ছেলে। তার বয়স আনুমানিক ২৫।

৪. শরিফুল শেখ ফার্নিচারের দোকান থেকে ধারালো বাটাল নিয়ে সাধু পরমানন্দ রায়কে ধাওয়া দেয়। প্রথমে তাঁর হাতে ও পেটের নিচের অংশে কোপ দেয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে শরিফুল তাঁর পিঠে ধারালো বাটাল ঢুকিয়ে দেয়। বাটালটি তাঁর পেট দিয়ে বের হয়ে যায়।

৫. টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিক্ষেত্রের আধা কিলোমিটার দূরে গিমাডাঙ্গা বাজার। আহত সাধু পরমানন্দ রায়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাঁকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়। খুলনায় তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান।

৬. রবিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাসুড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় সাধু পরমানন্দ রায়কে মরদেহ সমাহিত করা হয়। এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৭. নিহত সাধু পরমানন্দ রায়ের ছেলে প্রফুল্ল রায় বাদী হয়ে রবিবার সকালে শরিফুল শেখকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শরিফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার নাথ।

৮. এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল শেখের সঙ্গে উগ্রপন্থী কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

৯. টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো. মাহামুদুল হক দৈনিক ইত্তরফাককে বলেছেন, এ ঘটনায় শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছেলেটির আচরণে মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেননি।

১০. টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি ওসি মো. মাহামুদুল হকের বক্তব্য যে পত্রিকাগুলো কোড করেছে, সেখানে আক্রমণকারী শরিফুল শেখকে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসাবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে।

১১. নিহত সাধু পরমানন্দ রায় গিমাডাঙ্গা বাজার করতে এসেছিলেন। বাজার করা শেষে তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। আক্রমণকারী শরিফুল ধারালো বাটাল সংগ্রহ করেছিল একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে। এবং সাধু পরমানন্দ রায়কে খুন করার উদ্দেশ্যেই তাঁকে সে ধাওয়া করেছিল। নাগালে পেয়ে খুনী ধারালো বাটাল দিয়ে আঘাত সাধুকে করেছে। কিন্তু সাধু পরমানন্দ রায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত হলেও চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার দুপুরে মারা যান। তার মানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই সাধু মারা গেছেন।

১২. আক্রমণকারী শরিফুল শেখ যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে, তাহলে সে আক্রমণের পর পালিয়ে যায় কীভাবে? যদিও পুলিশ শরিফুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি'র বক্তব্যের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যের কোনো মিল নাই। তাহলে কী খুনিপক্ষ টুঙ্গিপাড়া থানার ওসিকে ম্যানেজ করে খুনিকে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসাবে চালানোর চেষ্টা করছেন খুনিপক্ষ?

১৩. তবে সাধু পরমানন্দ রায় হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ এখনো জানা যায়নি। পত্রিকাগুলো এ সংক্রান্ত কোনো আপডেটও দেয়নি। তবে এই খুনের মুটিভ এবং সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুরে গির্জার পুরোহীত হত্যা, সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিত আক্রমনের একটি নমুনা সুস্পষ্ট। কারণ সাধু পরমানন্দ রায় বাসুড়িয়া শ্রীশ্রী বাই রসরাজ আশ্রমের রসরাজ ঠাকুরের অনুসারী ছিলেন। তিনি সেখানে সনতন ধর্মের তপস্যা করতেন।

এখন দেখার বিষয় সাধু পরমানন্দ রায় হত্যাকাণ্ডের কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় বিচার হয়! কারণ টুঙ্গিপাড়া থানা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র জন্মস্থান ও নিজের সংসদীয় এলাকায়। আর নিহত সাধু পরমানন্দ রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র সংসদীয় আসনের একজন সম্মানিত ভোটার ছিলেন। তাছাড়া তিনি সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মের একজন সাধু ছিলেন।

......................................
২৫ এপ্রিল ২০১৬


সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প বলেছে, বাংলাদেশ পুরোপুরি এনার্খীতে, তারা মাইনোরিটির উপর অত্যাচার করছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬



৩ দিন পরে আমেকিকার ভোট, সাড়ে ৬ কোটী মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫১ ভাগ। এই অবস্হায় সনাতনীদের দেওয়ালী উপক্ষে ট্রাম্প টুউট করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×