স্রোতস্বিনী নদী কার আচলের তলে লুকায় দেখি
অবাক হয়ে বসে দেখি কালোচুলে মেঘ, নদী
দুচোখে পাতালের অতলান্তিক বিস্তার,
চোরাবালিতে হারিয়ে যাবার ভয়ে ভয়ে দেখি,
কান্নার বৃষ্টিগুলো ঝর্ণার ধারা হয়ে নামে,
হাসির বর্ণমালায় শব্দ-জমা অভিধানে!
রাগ-অনুরাগ-বিরাগের ঢল যেন ঢেউ
ছল ছল আখি নিয়ে ওইভাবে কেন দেখে কেউ?
গাঢ় হয়ে আসাদের নিবিড় কুয়াশায় মুড়িয়ে
রেখে ঠিক, অস্ফুট আলোয় যদি হারাই দিগ্বিদিক!
তবে তার দিকচিহ্নহীন পদচিহ্নের কাছে আমার বাড়ে ঋণ,
সুদে আর আসলেতে খেলাপির আসামী এক অর্বাচীন।
তবু তো ঘোড়েল সময়ের ধারাপাত, সমাজের উৎপাত
আর স্বাপ্নিক মৃত্যুর শোকে মূহ্যমান জলজ বিষাদ,
কেটে যাওয়া জীবনের গ্লানি আর হতাশার দিন
চলে যায়, যায়, এভাবেই যায়!
তোমার হৃদয়ের তীর্থে আমি আদিম দেবতা, জানি
পূজারীর অভাবই নেই কোন, জানি
তীর্থের কাকেরা অপেক্ষার স্বপ্নের টানে ইতি।
আমাদের আসে যে দিন, কাঠিন্যের বর্ম পরে থাকে,
পরতে পরতে জমে আরো পাথরের আস্তরণ,
তাতে বিদ্ধ হয়ে আসছি, হচ্ছি, হবো,
কোন আফসোস চেপে রেখে দীর্ঘশ্বাসের বাতাসে ভাসিনা
চোখের অতলে হারাই যদি, জেনে রেখে দাও, জানাও
কেটে ফেলা গাছের শেকড়ের মতই থেকে যাবে আমাদের প্রেম,
তুমিহীনা, আমিহীনা!
০৪-০৩-২০২১।। ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৩