আমাদের সোনালী শৈশব, আর স্বভাবতই নিজস্ব নীতিবোধ বিসর্জন
দিয়ে ফেলে, যে জেলখানায় বসে মৃত্যুর পায়ে
নিরন্তর পূজা দিয়ে যাচ্ছি, তাতে কার কী লাভ?
মৃত্যুর দেবী পার্সিফোন তাতে তুষ্ট নন, তার সন্তুষ্টি লাভ করা অসম্ভব জেনেও
দিয়ে বসি যূপকাঠে মাথা,
আর ভাবি, জল্লাদের মনে জাগবে একটুখানি বিবেক,
কয়েক ছটাক মানবতা।
কিন্তু হায়, মানবতার ধুয়ো তুলে দেবী আজ এদিকে তো, কাল ওদিকে,
এ যেন পেন্ডুলাম ঘড়ির সরল ছন্দিত স্পন্দন।
অথচ সে ঘড়ি ভয়াবহ ভঙ্গুর, দেবী ভঙ্গুর নন - ভঙ্গুর নয় তাঁর সাম্রাজ্য।
.
দেবীর আত্মতুষ্টির জন্য পূজারিরা নরবলি দিতে উৎসাহী হয়ে,
স্বতন্ত্র স্বাধীন মানুষের কণ্ঠনালীতে তুলে ধরে ছুরি,
পায়ের টিবিয়া-ফিবুলা ভেঙে ফেলে হাতুড়িতে -
এও এক নতুনরকম বলি, ডিজিটাল বলি।
তবুও যদি দেবী সন্তুষ্ট হন, যদি যা ইচ্ছা তাই করার
অধিকার পাওয়া যায়,
তাহলে দেবীর পায়ে ওরা নিজেদের মেরুদন্ড আর মগজের প্রতিটি কোষ
নজরানা দিতে এতটুকু দ্বিধা করবে না।
.
আর শৈশবের সত্যসন্ধানী আমরা সবাই,
বারবার মিথ্যার কাছে,
গণতান্ত্রিক আমরা স্বৈরতন্ত্রের কাছে,
নিষ্পাপ আমরা পাপের কাছে,
নীতিবান আমরা নীতিহীনতার কাছে,
মানুষ আমরা অমানবিকতার কাছে
বারবার হেরে গিয়ে এই বোধ জেগেছে মনে ,
এ জগতে সত্য বলে কিছু নেই, সৌন্দর্য বলে কিছু নেই,
সবই মিথ্যা আর ক্ষমতার অসুন্দর, বীভৎস, নোংরা প্রদর্শনী।
২২-০৭-১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩