
নোকিয়া ই-৫ এর স্ক্রিনে
কোন নোটিফিকেশন নেই।
আসলে আমি আশা-ও করছিনা !
অনেক বছর আগে এক বৈশাখের প্রথম দিনটি
নানান রং এ কাটিয়ে ভর সন্ধ্যায় রিক্সায় বসে
আমার চশমাটি ছুড়ে ফেলেছিলাম রাস্তায়
মোটামুটি অন্ধ হয়ে যাবো জেনেও।
বাসায় এসে দুজন মিলে কেনা কাঁচের জগটাই হাতের কাছে পেয়ে
সেটাকে চূর্ন করে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সারা ঘরময়।
আমার সেই রঙ্গীন দিনটা
সন্ধ্যার অন্ধকারে বর্নহীন করার পেছনে দ্বায়ী ছিল কে?
তুমি? নাকি সে?
আজ অনেক বছর পর ফাল্গুন।
প্রকৃতির রুপের সাথে তাল মিলিয়ে
এবার আর নিজেকে সাজানো হয়নি আমার….নানা কারনেই।
সাদামাটা আমাকেই একগাদা উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিলে।
সাদাকালো দিন পার করে তোমার ভালোবাসার রং এ
রঙ্গীন করতে চাইলে ভালোবাসা’র দিনের সন্ধ্যাটা।
কিছুটা রং এর চ্ছটা লেগেওছিলো বোধ করি।
আমিও চাইলাম ঘষে ঘষে সেই বর্নচ্ছটা
ছড়িয়ে দিতে আমার সারা উঠোন জুড়ে।
সেটা করতে গিয়েই……………………………………!!
দীর্ঘ ক’টি ক্লান্ত রাত ভোর করে
দুজন মিলে কেনা রঙ্গীন বোতলটাকে
নিজের অজান্তেই ছুড়ে দিলাম
ধবধবে সাদা টাইলসের দেয়ালে।
রিনিঝিনি ঝংকার করে সেটা ছড়িয়ে গেল সারা মেঝে।
টুকটুকে লাল রং কাঁচের টুকরোয়
সাদা মেঝে রঙ্গীন!
সাদাকালো আমার উঠোন!
দ্বায়ী কে? আমি? তুমি? নাকি সে?