বাজিকর কে? ব্রিটিশ ভারতের সেরা এসপিওনাজ এজেন্টকে বাজিকর বলা হত, এখন দেশভাগের পর তিনদেশে তিনজন বাজিকর আছে। কাহিনীর শুরু দু'টি ঘটনা দিয়ে। ইউক্রেন থেকে বিস্ফোরক তথ্য নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এক সিআইএ এজেন্ট। অপরদিকে ইউক্রেনের আকাশেই একটি বিমান হাইজ্যাক হয়, যে বিমানের যাত্রী ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কণ্যা, সাথে বাজিকর জনি। দ্রুততার সাথে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হয় ছয়জন এসপিওনাজ এজেন্টের এক দলকে , দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য অপারেটিভ আহাদ, ট্রেনিং শেষ না হওয়ায় যে এখনো এজেন্ট হতে পারেনি। দৃশ্যপটে চলে আসে ইউক্রেনের সিক্রেট সার্ভিস, রাশিয়া এবং আমেরিকা। ঘটনাচক্রে আহাদ একা হয়ে পড়ে, একাই ওকে সমাধান করতে হবে সব রহস্যের, যে রহস্য ইঙ্গিত করছে আন্তর্জাতিক এক গুপ্তসঙ্ঘের দিকে।
এর আগে যত থ্রিলার পড়েছি “বাজিকর”-এর মত মূলচরিত্র কোথাও পাইনি। আহাদ এসপিওনাজ এজেন্ট হিসেবে যথেষ্ট ভীতু, খুব অল্পতেই তার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরে, তার হাত কাঁপে, সে আশেপাশের মানুষকে নিয়ে আমাদের মতই দুঃখ অনুভব করে, তাদের কষ্টে সমব্যথী হয়। ওর মানবীয় সত্ত্বা পাশের বাড়ির ছেলেটি করে তোলে, যেন অনেকদিনের চেনা। তবে আহাদ প্রচন্ড কষ্টসহিষ্ণু, বিপদের সময় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সে ঠিকই দৃঢ়, ইস্পাতকঠিন। দ্য এজেন্সি নামে বাংলাদেশের একটি গোপন সংস্থার কথা বলা হয়েছে, যারা পৃথিবী শ্রেষ্ঠ এসপিওনাজ এজেন্ট প্রস্তুত করে। দ্য অক্টোপাস – ভয়ংকর এক গুপ্তসংস্থা যারা কলকাঠি নাড়ে পৃথিবীর সব বড় বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের, ব্যবসার খাতিরে যেকোন অঘটন ঘটাতেই পিছপা হয়না; দ্য অক্টোপাস মনে করিয়ে দেয় ফ্রিম্যাসনারি কিংবা ইল্যুমিনাটি-র কথা। সুবিশাল প্লট আর অসাধারন কিছু ট্যুইস্ট, তবে পেছনের মলাটেই নামের ভুল চোখে লাগে, এব্যপারে সাবধানী হওয়া প্রয়োজন। নাবিল মুহতাসিম -এর জন্য শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১০