আমরা যারা দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করি। তাদের শরীরে ক্যালোরি কমার বদলে জমতে থাকে। দীর্ঘদিন একভাবে বসে কাজ করলে আমাদের ওজন বেড়ে যায়। মোটা হলে এমনিতেই দেখতে খারাপ লাগে। আর সবচেয়ে বেশি মেদ জমে আমাদেরপেটে। যার ফলে আমাদের ফিগারের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে বেঢপ দেখায়। অনেক সময় আমরা পেটের চর্বি কমানোর জন্য খাবার খাওয়াপ্রায় বন্ধই করে দেই। আবার অনেকে জিমে গিয়ে কয়েক দিন খুবব্যায়াম করতে শুরু করি। না বুঝে এমন করার জন্য দেখা যায়, উল্টো ফল হয়েছে।
আসলে পেটের মেদ ঝেড়ে ফেলার কোনো সহজ পথ নেই, যার মাধ্যমে আমরা রাতারাতি ওজন কমিয়ে স্লিমহতে পারি। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, ধৈর্য ও সাধনা।মূল কথা হলো, কম ক্যালরিযুক্ত খাবারখেতে হবে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পেটের মেদ কমিয়ে আকর্শনীয় হতে যা করতে হবে:
১। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
২। হাঁটা হলো সব চেয়ে ভালো ব্যায়াম, এমনভাবে হাঁটুন যাতে শরীর ঘামে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়
৩। পেটের চর্বি কমাতে পেটে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম করুন
৪। বুক ডাউন পদ্ধতি বেশ কাজে দেয়
৫।শুয়ে হাঁটু বাঁকা করে মাথার পেছনে হাত দিয়ে যতদূর সম্ভব কাঁধ ওপরের দিকে তুলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এভাবে ১২ বার করুন
৬। মেয়েরা বিছানায় শুয়ে দুই পা কমপক্ষে ১০ বার করে ১৫ মিনিট ধরে ওপরে তুলুন আর নামান
দুই পা একসঙ্গে ওপরে তুলতে পারেন, এভাবে প্রতিদিন ব্যায়ামকরুন
তবে পিরিয়ডের সময় পেটে অনেক চাপ পড়ে এমন ব্যয়াম করবেন না
৭। খাদ্য তালিকা থেকে চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিন
৮। রান্নায় জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন
৯। ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে চিড়া,মুড়ি, খৈ খেতে পারেন
১০। ভাত, রুটি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিমাণে কম খান
১১। ছোট মুরগি, ছোট মাছ, শাক-সবজি, ফল বেশি খেতে পারেন
১২। ডিমের কুসুম না খেয়ে সাদা অংশ খান
নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করুন
বাইরের কোমল পানীয়ের পরিবর্তে সাধারণ পানিই পান করুন
ধূমপানসহ সব ধরণের মাদক পরিহার করুন
ব্যায়াম বা ডায়েটিং শুরু করে ধৈর্য হারিয়ে ফেললে হবে না। নিয়মিত চেষ্টা করলেই ধীরে ধীরেআমরা কাঙক্ষিত ফিগার পেতে পারি।মনে রাখতে হবে, হয়তো দুই বছর ধরে বাড়তি মেদ আমাদের শরীরে জমেছে, এটা কমাতে তো একটু সময় লাগবেই।