৭২ ঘন্টার জন্য ফেসবুকে ব্লক ছিলাম। কারো টেক্সট, কমেন্টস কিছুই রিপ্লাই দিতে পারিনি। তবে ফেসবুক ব্লকের কারনটা বেশ ইন্টারেষ্টিং। অনেকে বিষয়টা জানেন; কিন্তু আমার মতো যারা জানেন না তাদের জন্য শেয়ার করছি। জরুরী পোষ্ট, অবশ্যই পুরোটা পড়বেন।
আমার পরিচিত একজন হোয়াটসএপে একটা ছবি পাঠিয়ে আমাকে বললো, ছবিটা আমি যেনো তাকে ফেসবুকে পাঠাই, বিশেষ দরকার। ছবিতে বৃষ্টির মধ্যে একটা ছোট বাচ্চা মাছ ধরছে, তার পরনে ছিঁড়া হাফপ্যান্ট। আমি ছবিটা ডাউনলোড করে তাকে ম্যাসেঞ্জারে পাঠাই। তার কয়েক মিনিট পরই ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশন এলো, “সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট” এবং “পর্ণোগ্রাফি” শেয়ার করার কারনে আমার একাউন্ট ৭২ ঘন্টার জন্য ব্লক!
আমি ধরেই নিলাম, কোন গ্রুপ আইডিতে রিপোর্ট করেছে। গতকাল নেটে “ফেসবুক ব্লকের কারন” টাইপ লিখে সার্চ করে ইন্টারেষ্টিং তথ্যটা পেলাম। কোন বাচ্চার ছোট বেলার বিকৃত ভঙ্গির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করলে,বড় হয়ে ওই ছবির কারনে তাকে হিনমন্যতায় ভুগতে হয়; তাই ফেসবুকে এ ধরনের ছবি শেয়ার করলে স্থায়ী ভাবে ব্লক হয়ে যেতে পারে একাউন্ট।
এবার আমি হোয়াটসএপে পাঠানো সেই ছবিটা আবার দেখে আবিষ্কার করলাম, ছবিটায় বাচ্চাটার ছিঁড়া প্যান্টের কারনে তার যৌনাঙ্গ দেখা যাচ্ছে। ছবিটাকে আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য টাইপ মজার কোন ছবি ভেবেছি, বাট ফেসবুক এর নতুন নিয়মে এটা “চাইল্ড পর্ণোগ্রাফি” ধরে নিয়ে এটা শেয়ার করার জন্য আমার একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। কাজেই সাবধান থাকুন, বাচ্চাদের ছবি শেয়ারে।
জাহিদ রাজ রনি
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪