-
-
-
-
-
-
-
শেষবার ম্যাসাকার চুমু আর তীব্র স্পর্শ
চলে যাবার আগে,
শুধু জেনে রেখো প্রিয়তমা তুমি আছ
শৈশবের নির্জন নৈসর্গে।
তোমার জন্য লাল নৈঃশব্দ্যের আয়োজন
জোনাকী আর জোছনা মিছিলে,
মেঠোপথ আর জলচিহ্নের পাশাপাশি বন্ধন
ছিন্ন হয় হাহাকারের জালে।
নরোম মেঘমালার ক্যানভাসে তোমার ছবি
দগদগে হয় সাতরঙা মিশ্রণে,
মনে মনে একলা বৈশাখি ঝড় তুলে ভাবি
তুমিতো ফিরবেনা শ্রাবণদিনে।
ভোরের শিশির আর তোমার লুকোনো কান্না; এই তুলনায় নিজেকে হারাই। তোমার নরম দুটো হাত মুঠো করে চুমু দিয়ে বলেছিলাম এমন ভালোবাসা আর কোথাও পাবেনা। তোমাকে ছেড়ে যাবোনা।
এই কথা সত্য ছিলো, সেই নগ্ন দুপুরে খোলা ছাদে চুমুর সবটুকু অনুভূতি সত্য ছিলো। তোমার গাল ছুঁয়ে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকার মাঝে কাছে পাবার কামনা ছিলো। ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়ার ইচ্ছে ছিলো। সাক্ষী ছিলো পাশে থাকা চড়ুই, আর ফুটপাথগুলো জানে আমার পায়ের মাটি আমাকে আঁকড়ে ছিলো। আমি তোমার ছায়ায় বারবার মিশে যাচ্ছিলাম।
এখন হুমহাম গুণি আর হাওয়া তাড়াই। নির্ঘুম চোখ লাল করে অদৃশ্য তোমাকে নামাই। যাযাবরের গল্প থেকে স্তব্ধতার কবিতায় শ্রাবণজলের মতো ঢলে পড়ি। ফেরারি বাতাস ছুঁয়ে গেলে উচ্চারণ করে নিষিদ্ধতার দাবী জানাই বোধের জানালায়। নির্জনতায় একা হেঁটে ততোধিক দুঃস্বপ্ন লুটে খাই তামাটে জলদস্যুর বেশে। গতকাল গিয়েছিলাম তোমার ঘরে দেখতে তুমি কেমন আছ কোন ঘোরে। জানালা খোলা হঠাৎ দমকা বাতাসে তুমি কি বোঝো আমার অশরীরী আসে?
কেন এমন হয়? যখন অনুভূতির ঝাঁ ঝাঁ উচ্চে পৌঁছে যাই, হেঁটে আসা এই দীর্ঘ ভুল পথ ধরে ছুঁতে চাই মোমের আলোয় আবছা তোমার গাল।
অথচ তুমি জীবন বাবুর নক্ষত্রের উপমায় হেঁটে গেছ ছায়াপথ ধরে। আমি আটকে গেছি হকিংসের কৃষ্ণগহ্বরের ওপাশে। তুমি নিয়ে গেছ সব গল্প কবিতা, শেষ বিকেলে লুকিয়ে থাকা সন্ধ্যা। নিয়ে গেলে রাতের আকাশ ভরা তারা, ভোরের রাজপথে পড়ে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
ছুঁয়ে দিলে হতাম অন্ধ স্টেশন মাস্টার। ছুঁয়ে দিলে না, হলাম রাতজাগা চিৎকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৮